-ইফতিয়াজ নুর নিশান

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১,এন্ড্রয়েড কিংবা স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা ছিলো না বর্তমানের মতো! সাইবার ক্যাফে আর জাভা অথবা সেম্ভিয়ান ফোনের আধিপত্য ছিলো ইন্টারনেটের প্রসারে। গ্রামীণফোন-প্রথম আলো উল্লেখিত দিনটিতে কক্সবাজার মহিলা কলেজ মাঠে আয়োজন করে ইন্টারনেট কেন্দ্রিকই দেশের প্রথম প্রতিযোগিতা “ইন্টারনেট উৎসব-২০১১” এর কক্সবাজার অঞ্চলের পর্ব। শৈশব থেকেই ইন্টারনেট অথবা প্রযুক্তির জগতে ছিলো আমার বিচরণ, ফলশ্রুতিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে পেয়েছিলাম “আই জিনিয়াস” স্বীকৃতি, হয়েছিলো সৌভাগ্য জাতীয় পর্যায়ে কক্সবাজারের প্রতিনিধিত্ব করার।
পরের দিন স্থানীয় পত্রিকায় আয়োজনটির খবর আসবে জানতাম, তবে ইন্টারনেট ভিত্তিক আয়োজন হওয়ায় অইদিন বিকেলেই বৌদ্ধ মন্দির সড়কে থাকা গুগল সাইবার ক্যাফেতে (বর্তমানে বন্ধ) বসে গুগল সার্চ দিলাম নিজের অর্জনের খবর দেখতে। গুগলের ফলাফলে প্রথমেই আসে coxsbazarnews.com! তথা সিবিএন। সেদিন সিবিএনের সংবাদের সাথে প্রকাশিত ছবিটা আমার সংগ্রহে আছে যেটি সংযুক্ত করলাম এখানে। সিবিএনের ব্যাপারে আগে থেকে জানলেও অইদিন আমার সাথে নতুন পরিচয় হয় সিবিএন এর, যেনো সেই থেকে আত্নার সাথে জড়িয়ে নিতে শুরু করি কক্সবাজার জেলার প্রযুক্তি কেন্দ্রিক সর্বপ্রথম মুখপাত্রটিকে।

যুগপূর্তির বর্ষে যুগের পথপ্রদর্শক থেকে সাক্ষী!

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, পথচলার ১১ বছর পূর্ণ করে যুগপূর্তি বছরে পা রেখেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে বিশ্ব সমাদৃত কক্সবাজারের প্রথম ইন্টারনেটভিত্তিক গণমাধ্যম কক্সবাজার নিউজ তথা সিবিএন।
ভালোবাসার দিনে যাত্রা শুরু করা সিবিএনের সাথে আমার সম্পর্কটা আত্নার ও ভালোবাসার, তাই স্মৃতিচারণ দিয়ে শুরু করে বাস্তবায়ন করেছি সিবিএন নিয়ে কিছু লেখার অমিয় ইচ্ছাকে।গেলো যুগে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বৈশ্বিক পরিমন্ডল থেকে দেশীয়
প্রেক্ষাপটে,সিবিএন হয়েছিলো তার পাঠকদের কাছে পরিবর্তনের গল্পগুলোর বার্তাবাহক। দ্রুত সময়ে এবং প্রাসঙ্গিক ও সত্য তথ্যপ্রবাহের ধারবাহিকতা বজায় রেখে সিবিএন বিগত যুগে সফলতা দেখিয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তায়। যুগের পথপ্রদর্শক থেকে সাক্ষী বলার আরেকটা যৌক্তিক কারণ আছে, কারণ সিবিএন দেশের প্রথম পর্যায়ের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এবং কক্সবাজারে প্রথম। সিবিএন যে যাত্রা শুরু করেছিলো সে যাত্রায় অনুপ্রাণিত হয়ে যেনো বেড়েছে অনলাইন গণমাধ্যমের সংখ্যা। অনলাইন গণমাধ্যমের ও জুটেছে স্বীকৃতি সেক্ষেত্রে সিবিএনের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। আপনি যদি অনলাইন সংবাদ পাঠক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে মানতে হবে এই মন্তব্য, যুগের বিবর্তনে সংবাদপ্রবাহের গতানুগতিক ধারাবাহিকতা অক্ষয় রাখার পাশাপাশি সিবিএন আসীন হয়ে আছে অনলাইন মাধ্যম গুলোর পথপ্রদর্শকের আসনে।

পথচলা চলুক চিরকাল!

সচেতন পাঠক হিসেবে নিঃসন্দেহে দাবী করতে পারি শুধু কক্সবাজার কেন্দ্রিক নয় যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট দেখি তাহলে ইন্টারনেট ভিত্তিক গণমাধ্যম কে প্রাতিষ্ঠানিক তথা জনকেন্দ্রিক ও স্বীকৃত তথ্যমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সিবিএনের ভূমিকা সত্যিই অতুলনীয়। না! আমি মোটেও বাড়িয়ে বলছি না! আমাকে এতটুকু বলতেই হবে কারণ সিবিএন তার মানদন্ড ও স্বকীয়তা অনুযায়ী আরো বেশি বিশেষণ ও স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।আমার শিক্ষক পরম শ্রদ্ধেয় আকতার চৌধুরী স্যার নিজের মেধা প্রজ্ঞায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আজকের এই সিবিএন, আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি উনার দীর্ঘায়ু কামনা করে নিবেদন করছি নিরন্তর শুভকামনা। স্যারের অদম্য প্রচেষ্টায় আজকের সিবিএন পরিবার যে পথচলার যাত্রী সে পথচলাও হোক সুগম ও মসৃণ। প্রথম পর্যায়ের সংযোজন হয়ে আবর্তিত সিবিএন স্বমহিমায় চিরঞ্জীব থাকুক চিরকাল, একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে সেই প্রত্যাশা রেখে যাচ্ছি পরিশেষে।

শিক্ষার্থী,ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ,প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।