শাহেদ মিজান

বাংলাদেশেও অনলাইন মিডিয়া জগতে এক বৈপ্লবিক সমৃদ্ধি ঘটেছে। জাতীয় পর্যায়ে বিডিনিউজ২৪ ডটকম’র হাত ধরেই বাংলাদেশ ওপেন মিডিয়ার জগতে প্রবেশ করেছিলো। এর পরপরই জাতীয় পর্যায়ে আরো দুয়েকটি অনলাইন পোর্টাল যাত্রা করেছিলো। কিন্তু জেলা পর্যায়ে বিষয়টি তখন ছিলো অকল্পনীয়! তবে সেই দুঃসাহসিক উদ্যোগটি নিয়েছিলেন কক্সবাজার আলোকিত মানুষ অধ্যাপক আকতার চৌধুরী। তিনি অনলাইন প্রযুক্তি শুরুর কঠিন সময়ে ২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রয়ারি ভালোবাসা দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করেছিলেন আজকের তুমুল জনপ্রিয় coxsbazarnews.com-CBN এর। ১১ বছর পেরিয়ে আজ ১২ তম বর্ষে  অর্থাৎ এক ‍যুগে পদার্পণ করলো সিবিএন। ফেলে আসা সময়ে বহু সীমাবদ্ধতা এবং কঠোর পরিশ্রম সত্ত্বেও শ্রদ্ধেয় আকতার চৌধুরী সিবিএনকে ছিঁটকে যেতে দেননি। ওনার চিন্তা ছিলো বিশ্বদরবারে কক্সবাজারকে তুলে ধরা। তিনি আজ সফল। তাঁর দুরভীসন্ধিতার কারণে বিশ্বদরবারে কক্সবাজারকে প্রমোট করা জন্য আজ একটি অুুলনীয় প্লাটফর্ম পেলো কক্সবাজারবাসী।
আমরা শুরু থেকে প্রতি মুহূর্ত এবং বারবার বলে যাচ্ছি পাঠকেরাই সিবিএন’র এর প্রাণ! অগণিত পাঠকের ভালোবাসায় আজ কক্সবাজারের অনলাইন সংবাদের জগতের কথা উঠলেই সবার চোখে ভেসে উঠে সিবিএন। কারণ শুধু কক্সবাজারের ‘প্রথম অনলাইন পোর্টাল’ তকমা নিয়ে সিবিএন কখনো বসে থাকেনি। কক্সবাজারের অঁজপাড়া গাঁ’সহ আনাচে-কানাচের সব ধরণের খবর তুলে এনে প্রকাশ করতে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে সিবিএন টিম। সাথে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব ধরণের সংবাদ আমরা মুহূর্তের মধ্যেই প্রকাশ করছি। সব মিলে কক্সবাজারের একজন পাঠককে নিজ গ্রামসহ পুরো পৃথিবীর খবর মুহূর্তের মধ্যেই জানতে সিবিএন ছাড়া আর কোথাও ঢুঁ মারতে হচ্ছে না!

প্রতি মুহূর্তের কক্সবাজারকে তুলে ধরতে নিরলস কাজে যাচ্ছি আমরা। গুজব এবং মিথ্যাকে পাশ কাটিয়ে সত্য ঘটনাটাই তুলে ধরতে আমরা সব সময় অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছি। আমাদের ধর্ম ‘দেশ এবং মানুষ’। দেশ ও মানুষের স্বার্থ রক্ষাই আমাদের অঙ্গীকার। সার্বক্ষণিক আমাদের চেষ্টা থাকে সিবিএন’র দ্বারা কোনো নিরীহ, নিরাপরাধ, নির্দোষ মানুষের ক্ষতি যেন না হয়। সেই সাথে কারো ব্যক্তিগত চরিত্র হননও যেন না হয় সেই চেষ্টা করে থাকি। বিপরীতে অপরাধ, সামাজিক অসঙ্গতি, সমস্যা তুলে ধরতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সর্বোপরি আমাদের শত পরিশ্রম দেশ ও মানুষের কল্যাণে! এই জন্য আমাদের অভিভাবক সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখেন।

সিবিএন কোনো রাজনীতি করে না। কোনো দল এবং মত নয়; মানবতাই আমাদের বিশ্বাস। অরাজনৈতিক এবং অসাম্প্রদায়িক বিশ্বাস নিয়ে কাজ করি আমরা। সত্যিকার অর্থে আমরা মানুষের জন্যই কাজ করি। আমরা জানি কক্সবাজারের মানুষের হৃদয়ে সিবিএন’র প্রতি সে বিশ্বাসটা প্রোথিত হয়ে গেছে। তাইতো অগণিত মানুষের ভালোবাসায় সব সময় সিক্ত থাকে সিবিএন।
প্রবাসের সাথেও সিবিএন’র প্রবল সংযোগ রয়েছে। কেননা কক্সবাজারের কয়েক লাখ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছে। পরিবার-পরিজন ছেড়ে বছরের পর বছর তারা ‘ওই দূর প্রবাসে’ নিঃসঙ্গ জীবন কাটায়। নিজের গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার মানুষ এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি কেমন আছে তা জানার জন্য তারা সব সময় উন্মুখ থাকে। কক্সবাজারকে বিশ্বের সাথে যোগাযোগের সেই সেতুবন্ধন করে দিয়েছে সিবিএন। প্রবাসীরা মুঠোফোনে সিবিএন খুললেই পেয়ে যায় তার গ্রামের খবরা-খবর। তাই প্রবাসীদের কাছেও সিবিএন ব্যাপকভাবে বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তারা সিবিএন ছাড়া অন্য পোর্টালের সংবাদ বিশ্বাস করতে চায় না! কক্সবাজারের বড় ঘটনা ঘটলে সংবাদটি তাৎক্ষণিক সিবিএন’এ না পেলে অনেক প্রবাসী ফোন করতে থাকেন। এভাবে প্রবাসী কক্সবাজারবাসীর কাছেও সিবিএন বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বর্তমানে সিবিএন’র প্রায় ৪০ শতাংশ পাঠক রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।

বিভিন্ন স্তরের মানুষ এখন নির্দ্বিধায় বলেন, অনলাইন পৃথিবীতে কক্সবাজারের প্রতিনিধিত্ব করছে সিবিএন। কক্সবাজারকে বিশ্বদরবারে প্রমোট করে যাচ্ছে সিবিএন। কক্সবাজারের কানাচে-কানাচের খবরের প্রধান প্লাটফর্ম সিবিএন। প্রবাসীদের সাথে দেশের সংযোগ করে দিয়েছে সিবিএন। তাই সিবিএন’ই কক্সবাজারের আয়না! কক্সবাজারের ‘আয়না’ হয়ে থাকতে চায় সিবিএন!

পৃথিবী এখন প্রযুক্তির হাতে বন্ধি! প্রযুক্তি ছাড়া জীবন ধারণ অসম্ভব বললেই চলে। প্রযুক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রা পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো মতোই। কেননা এখন শহর থেকে গ্রাম, বিত্তশালী থেকে বিত্তহীন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। কম্পিউটারের বিকল্প এই স্মার্ট ফোন পৃথিবীকে সব মানুষের মুঠোই এনে দিয়েছে। কিভাবে? অঁজপাড়া গায়ে বাস করার ব্যক্তিও তার স্মার্টফোনে অনায়সে ঢুকে যেতে পারছেন পৃথিবীর সব অনলাইন মিডিয়ায়। অনলাইন মিডিয়াগুলোই সর্বস্তরের মানুষকে অনায়সে পৃথিবীর খবর দিতে সক্ষম হয়েছে। যে যাত্রা সিবিএন এক মাইলফলক তৈরি করেছে বলে আমাদের বিশ্বাস!

প্রিয় পাঠক, আমরা যেতে চাই বহুদূর। আপনারা সাথে থাকলে কোনো সংকীর্ণতা আমাদের রুদ্ধ করতে পারবে না। কথা দিচ্ছি, মানবতার কল্যাণে আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে। এই যাত্রাপথে সব সময় আপনাদের সাথে পাবো- এই প্রত্যাশা রইল। এক ‍যুগে পদাপর্ণে সকল পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা এবং শুভানুধ্যায়ীদের জানাই অশেষ শুভেচ্ছা।

লেখক: চীফ রিপোর্টার, coxsbazarnews.com-CBN