এ কে এম ইকবাল ফারুক, চকরিয়া
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে একই রাতে এক প্রবাসীরসহ দুইটি বাড়ি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডাকাতির ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ র্ফেরুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চকরিয়া থানা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মাসুদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বাসিন্দা জিসান উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন, সাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা মহিউদ্দিন ও নুরুল আলম প্রকাশ বদাইয়্যা এবং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন।

ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, গত ২ র্ফেরুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা ও রাত দেড়টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে দুবাই প্রবাসীরসহ দুইটি বাড়িতে পৃথক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন প্রবাসি হুমায়ুন কবিরের মা খালেদা বেগম বাদি হয়ে ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ র্ফেরুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসআই আবদুল্লাহ আল মাসুদ আরও বলেন গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নুরুল আলম ও গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বের ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের মামলা রয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সাহারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে পৃথক ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরও বলেন, ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত: গত ২ র্ফেরুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের আবদুল জব্বার সিকদার পাড়া এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন কবিরের বসতঘর ও রাত দেড়টার দিকে পাশর্^বর্তী পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাছিম আলী সিকদার পাড়া এলাকায় হাজি মনজুর আলমের বসতঘরে পৃথক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৮-৯ জনের সশস্র ডাকাতদল বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকার পর ১১ মাসের শিশু সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেড রুমের আলমিরা ভেঙ্গে ৬৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৪ লাখ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদলের এলোপাতাড়ি মারধরে শিশু ও নারীসহ চারজন আহত হয়। এ ডাকাতির ঘটনায় প্রবাসি হুমায়ুন কবিরের মা খালেদা বেগম বাদি হয়ে ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের পর পুলিশ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।