মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন সমুদ্র পথে পর্যটকবাহী বিলাসবহুল জাহাজ ‘কর্ণফুলী’ চলাচলে জেলা প্রশাসনের কোন অনুমোদন নেই। ‘কর্ণফুলী’ জাহাজটি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে সাগরপথে চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসনে শুধুমাত্র আবেদন করেছে।

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী সকালে অনুষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় সভায় উপস্থিত কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভার সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন এ তথ্য জানান।

সভায় অন্য ক’জন সদস্য পর্যটকবাহী বিলাসবহুল জাহাজ কর্ণফুলীর যাত্রীরা পর্যটক সেজে কৌশলে মাদক আনতে পারে, তাই জাহাজটিতে কড়া গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানান। তার জবাবে উপস্থিত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) বলেন, ৬/৭ শ’ পর্যটককে প্রতিদিন জাহাজে উঠানোর সময় একবার চেক করা ও নামতে আরেকবার চেক করা খুবই দুরূহ কাজ। এতে পর্যটকেরা বিব্রত হবে। তারপরও সুক্ষ গোয়েন্দা নজরদারি শুরু থেকেই রয়েছে। ‘কর্ণফুলী’ নামক পর্যটকবাহী জাহাজটি সকাল ৭ টায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছটা আইডাব্লিওটিএ ঘাট থেকে ছেড়ে রাত্রে ১০ টার পর কক্সবাজার পৌঁছায়। তাই সভায় জাহাজটিতে আরো প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি, এডিশনাল এসপি (এডমিন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধকালীন জয়বাংলা বাহিনীর প্রধান কামাল হোসেন চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসংগত, গত ৩০ জানুয়ারি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আবদুস সালাম, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও বিশিষ্টজনেরা ‘কর্ণফুলী’ নামক পর্যটকবাহী বিলাসবহুল জাহাজটি উদ্বোধন করেন।