আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার একদিনে আরও ১০৮ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬ জন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।
মঙ্গলবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত দেশটির মূল ভূখণ্ডে অন্তত ২ হাজার ৪৭৮ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৬৩৮ জন। সোমবার মৃতদের মধ্যে ১০৩ জনই মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের এবং অন্তত ৬৭ জন সেখানকার রাজধানী শহর উহানের।
দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এক বৈঠকে জানিয়েছেন, অন্তত ২০ হাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের উৎসস্থল উহানে পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েকটি টিম সেখনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
চীনের জাতীয় হেলথ কমিশনের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ২৮১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া অন্তত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫১৮ জন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে অধিকাংশ দেশ।
আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসকে ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাস। মঙ্গলবার পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, সংক্রমিত দেশের সংখ্যাতেও এটিকে ছাড়িয়ে গেছে ২০১৯-এনসিওভি।
২০০২-০৩ সালে আট মাসের মধ্যে ২৫টি দেশে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন। চীনের উহান থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চীন ছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে দু’জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।