সংবাদদাতা:

টেকনাফে জমির বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে ৬ জন। আহতরা সবাই সহোদর। তারা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের পুরানপাড়ার বাসিন্দা রশিদ আহমদের ছেলে আবদুল মাবুদ, আবদুল মাজেদ, আবদুল মন্নান, হামিদুল হক, রাশেদ, আবদুল খালেদ। তাদের মধ্যে আবদুল মাবুদ ও আবদুল মাজেদ চট্টগ্রামের দুইটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বাকী ৪ জন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ৫ ফেবুয়ারী সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিনকে দুষছেন এলাকাবাসী। বিচারের জন্য ডেকে নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে ভিকটিমের স্বজনেরা অভিযোগ করেছে।
ভিকটিম মোঃ রাশেদ জানিয়েছে, বুধবার সকালে বিচারের দিন ধার্য্য ছিল। চেয়ারম্যানের ডাকে তারা নিজস্ব জমিতে পৌঁছলে অতর্কিত হামলে পড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দা, খন্তি, কিরিচসহ বিভিন্ন স্থানীয় অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে বেপরোয়া হামলা করলে গুরুতর আহত হয় তারা ৬ ভাই। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় চমেকে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চেয়ারম্যানের দুর্বলতার কারণে নৃশংস ঘটানটি ঘটেছে বলে দাবী করা হয়।
ভিকটিমদের অভিযোগ, হামলার সাথে অন্তত ১৫ জন জড়িত। সেখানে রয়েছে- জামাল উদ্দিন, ছৈয়দ আলম প্রকাশ ভুলু, লেদু, আরমান, ছলিম উল্লাহ, মোক্তার আহমদ, অলি আহমদ, জহির আলম, রাহমত উল্লাহ, জিয়াউর রহমান, হামিদ উল্লাহ, রাহমত উল্লাহ। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিনকে ফোন করলে পাওয়া যায় নি।