আতিকুর রহমান মানিক
সমুদ্র ও নদ-নদীর মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল নির্মূলে উপকূলীয় জেলাসমূহে শুরু হয়েছে সম্মিলিত বিশেষ অভিযান ( কম্বিং অপারেশন)। এর আওতায় গঠিত জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গত ৭ জানুুুয়ারী থেকে কক্সবাজারেও অভিযান শুরু করেছে। ৭ – ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রথম ধাপের অভিযান শেষে গত ২১ জানুয়ারী শুরু হয়েছে ২য় ধাপের অভিযান। এর তৃতীয় দিনে ২৩ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দিনব্যাপী অভিযানে ১০ টি বড় আকারের বেহুন্দি জাল জব্দ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
কক্সবাজার সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব প্রদানকারী ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) তারাপদ চৌহান জানান, উপরোক্ত কম্বিং অপারেশনের অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট, নদী মোহনা, নাজিরারটেক-সোনাদিয়া চ্যানেল ও মহেশখালী চ্যানেলে অভিযান শুরু হয়। দিনব্যাপী এ অভিযানে বিভিন্ন ফিশিং বোট তল্লাশী করা হয়। এসময় ১০ টি বৃহদাকারের বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত সব জাল বিকালে কক্সবাজার কোস্ট গার্ড স্টেশন সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতীরে জনসমক্ষে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান এসময় উপস্হিত ছিলেন। কোস্টগার্ড কক্সবাজার ষ্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মহিউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন কোস্টগার্ড ফোর্স, মৎস্য কর্মকর্তা (সয়েল) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযানে অংশ নেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) তারাপদ চৌহান বলেন, সাগরের মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।