মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজারের এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) ষষ্ঠ বারের মতো চট্টগ্রাম রেঞ্জ সেরা পুলিশ সুপার হয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১ টি জেলার মধ্যে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন। মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি’র সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম রেঞ্জ সেরা ক্রেস্ট ও সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) হাতে তুলে দেন। এনিয়ে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে এসপি হিসাবে যোগদানের পর ষষ্ঠ বারের মতো রেঞ্জ সেরা হওয়ার স্বীকৃতি পেলেন। এ বিরল স্বীকৃতি পেয়ে সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চৌকস ও মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার)
এর আগে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান, দৃষ্টান্তমূলক সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় পুলিশ সপ্তাহে সারাদেশের একমাত্র এসপি হিসাবে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক বিপিএম-সেবা (বিপি :৭৫০৫১০৫০৭৯) পদক পেয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ এর প্রথম দিনে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ সদর দপ্তরের প্যারেড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এই পদক প্রাপ্ত ১১৮ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক প্রদান ও ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এছাড়া, বাংলাদেশ পুলিশের বাৎসরিক ‘মহোৎসব’ নামে খ্যাত পুলিশ সাপ্তাহে দেশের সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধারকারী জেলা ও দেশের সর্বোচ্চ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারকারী জেলা হিসাবেও পৃথক ২ টি আইজিপি পদক পেয়েছেন এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার)।
এ অসামান্য অর্জনের পর গত ১৯ জানুয়ারি এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এবং আইজিপি ব্যাজ প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, মহেশখালী থানার ওসি প্রভাব চন্দ্র ধর ও টেকনাফ থানার এএসআই সনঞ্জীব কুমার দত্তকে কক্সবাজার জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের পক্ষ থেকে নাগরিক সমবর্ধনা দেওয়া হয়। বর্ণাঢ্য এই সমবর্ধনার জবাবে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) মাদক নির্মুল ও অপরাধ দমনে আইন আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাদকসেবী থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মাদক দ্রব্যের যোগানও কোন না কোন ভাবে থাকবে। তাই সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিকভাবে মাদকসেবিদের সুস্থ করে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সবার প্রতি আহবান জানান।
এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম কক্সবাজারে যোগদানের মাত্র ১৬ মাসের মধ্যে ২ টি জাতীয় পর্যায়ের বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পদক প্রাপ্তি ও ৪ টি আইজিপি পদক প্রাপ্তির সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। অপরাধ দমনে পুলিশিং অপারেশনে ব্যাপক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে সাহসিকতা ও ২০২০ সালে সেবা ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম-কে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই জাতীয় পুরস্কার সমুহ প্রদান করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন কক্সবাজার জেলা পুলিশের এ শুভলগ্নে সিবিএন-কে জানান-এ বিশাল অর্জন শুধুমাত্র জেলা পুলিশ বিভাগের জন্য নয়, পুরো কক্সবাজার জেলাবাসীর জন্য এটা বিরাট সম্মান ও মর্যাদার বিষয়। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজওয়ান আহমেদ সিবিএন-কে বলেন, এ বিরল সম্মান একদিকে, কক্সবাজার জেলা পুলিশের নিয়মতান্ত্রিক কর্মে উৎসাহ ও গতিশীলতা বাড়াবে এবং অন্যদিকে, পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নিঃসন্দেহে অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি সিবিএন এর কাছে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এর আপোষহীন ভূমিকায় মহেশখালী উপকূলের ভয়ংকর জলদস্যুরা বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ৪৩ জন সশস্ত্র জলদস্যুকে মহেশখালী হাইস্কুল মাঠে আত্মসমর্পণ করেছিলো। র্যাব প্রধান বেনজির আহমেদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সফল আত্মসমর্পণ হয়েছিলো। যে ৪৩ জন পেশাদার জলদস্যু এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে এসেছে।
ইয়াবা সহ সবধরনের মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বত্র তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। পালাতে থাকে ইয়াবার গডফাদার, খুচরা বিক্রেতা, ইয়াবা সেবীরা। চরম আতংকিত হয়ে গাঢাকা দেয় ইয়াবার পৃষ্ঠপোষকতাকারীরা। ইয়াবাকারবারীরা নিজেরা নিজে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে এবং ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কথিত বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হতে থাকে প্রতিদিন। আইনী পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতাও গড়ে তোলা হয় সর্বত্র। টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত অনেক ইয়াবাকারবারী সরকারের কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। সে ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ হাইস্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী (বিপিএম-বার) সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবাকারবারী আত্মসমর্পণ করে। যা ছিলো, এ দেশের মাদককারবারী আত্মসমর্পণের প্রথম রেকর্ড। আভ্যন্তরীন সংঘর্ষে নিহত হয় মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনার প্রথম জনক ও মিয়ানমারের ২৩ টি ইয়াবা কারখানার ডিলার বলে খ্যাত সাইফুল করিম। এভাবে গত ১৬ মাসে নিহত হয় প্রায় দেড়শ’ চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি ও জগন্য অপরাধী। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে এ সাড়াশি অভিযান এখনো তীব্রভাবে চলমান রয়েছে। গত ১৬ মাসে স্থানীয়ভাবে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দমন করা সম্ভব হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের তীব্র অভিযানে থাকতে না পেরে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছরা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে ৯৬ জন জলদস্যু ও অস্ত্রের শীর্ষ কারিগর আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণকারীরা জেলা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে ১৫৫ টি অবৈধ অস্ত্র, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম ও প্রচুর গোলাবারুদ।
পুলিশ বিভাগে নিয়োগ মানে বস্তা ভরে ভরে অনৈতিক লেনদেন করা। ২০১৯ সালের ২ জুলাই কক্সবাজার জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ৩৮৬ জন টিআরসি (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) নিয়োগ দেয়া হয়েছে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে। এ নিয়োগে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। কক্সবাজার জেলার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সমুহ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে জেলা পুলিশের ভাবমূর্তির ব্যারোমিটারের পারদকে উপরে উঠিয়েছেন। এভাবে একের পর এক সফলতা আর রাষ্ট্রের দেয়া এজেন্দা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন যিনি-তিনি হলেন কক্সবাজারের স্বনামধন্য, নির্লোভ নিরহংকার পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম।
২০১৯ সালে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এর সাথে জেলা পুলিশের আরো ৪ জন কর্মকর্তা পেয়েছিলেন পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার সাহসিকতায় বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পদক।
তখনো একই সাথে ২০১৯ সালে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহে সারা দেশে সর্বোচ্চ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক উদ্ধারে পৃথক ২ টি আইজিপি পদক পেয়েছিলেন জাতীয় পুলিশ সপ্তাহে। এ দুটো জাতীয় পদকও আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী (বিপিএম বার) এর কাছ থেকে গ্রহন করেছেন এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম। এরআগে গত একবছরে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলার মধ্যে সার্বিক সাফল্য বিবেচনায় বরো ৫ বার চট্টগ্রাম রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ জেলা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
থাইল্যান্ড, জাপান ও ফিলিপাইন থেকে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) নিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার অংশীদারত্ব। রোহিঙ্গা শরনার্থী ব্যবস্থাপনা ছিলো কক্সবাজার জেলা পুলিশের জন্য একটা বড় কঠিন কাজ। এ চ্যালেঞ্জ সফলভাবে ব্যবস্থাপনায় সক্ষম হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। তবে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কিছু সংখ্যক অসাধু লোকজন সম্পৃক্ত থাকায় অপরাধ দমনে বেগ পেতে হচ্ছে এখনো জেলা পুলিশকে। গুজব প্রতিরোধ ও ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ। জেলায় গুজবকে শূণ্যের কোঠায় নিয়ে এসেছিলেন স্বল্প সময়ে।
স্থানীয় ভাবে “দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় সফল নায়ক” হিসাবে উপাধি পেয়েছেন এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার)।
অপ্রতিরোধ্য এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম জম্মগ্রহন করেন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ওলানিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। তাঁর গর্বিত পিতা মরহুম মাস্টার আবদুল কাদের হাওলাদার, মাতা অজুফা খাতুন। তাঁর বাবা ছিলেন, এলাকার একজন আদর্শ, গুনী ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। তাঁরা পরিবারে ৮ ভাই বোন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করে ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিসিএস (পুলিশ) সার্ভিসে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বিসিএস (পুলিশ) এর একজন কৃতি সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এ.বি.এম মাসুদ হোসেন।
চাকুরি জীবনের শুরুতেই এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম পুলিশ হেডকোয়ার্টারে যোগ দেন। এরপর সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসাবে ডিএমপি’তে, সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে মুন্সিগঞ্জ জেলায়, কিশোরগঞ্জ জেলায় ও ঢাকা জেলায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (টিআর) পদে দায়িত্বপালনকালীন সময়ে ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৮ সালের ১১মার্চ তিনি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার এন্ড ফোর্স) হিসাবে বদলী হয়ে সেখানেও তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ উপ পুলিশ কমিশনার হিসাবে ডিএমপি’তে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হিসাবে নিয়োগ পান। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেনের জন্মদিন ১৬ সেপ্টেম্বর। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ.বি.এম মাসুদ হোসেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন। তৎকালীন বিদায়ী পুলিশ সুপার ডঃ এ.কে.এম ইকবাল হোসাইন থেকে তিনি দায়িত্ব গ্রহন করেন। ২০১৪ সালে কৃতিত্বের জন্য চৌকষ, মেধাবী ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম আইজিপি ব্যাজ অর্জন করেন। বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার প্রখ্যাত আইনজীবী, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ও বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন কাবুল এর কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা জেনিফার মুন’কে নিজের জীবনসঙ্গীনি হিসেবে বেচে নেন ২০০৮ সালের ৩১ অক্টোবর। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম কক্সবাজারে কর্মরত থাকাবস্থায় তাঁর শ্বশুর বরিশালের সবার প্রিয়, আমৃত্যু বরিশালের পিপি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন কাবুল ২০১৯ সালে ১৯ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এবং জেনিফার মাসুদ দম্পতি ঈসা ও মুসা নামক ফুটফুটে চোখজুড়ানো দু’জমজ সন্তানের জনক ও জননী।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য তিনি ষষ্ঠ বারের মতো শ্রেষ্ঠ হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি সিবিএন-কে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মহান আল্লাহতায়লার কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন-এ বিরল পুরস্কারের জন্য তাঁর আবারো মনোনয়ন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অসীম ত্যাগ, সাহস ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্যের কাজের গতি, সাহস ও উৎসাহ আরো বাড়বে বলে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সিবিএন-এর কাছে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন-রেঞ্জ সেরা হওয়ার এই অবদান শুধুমাত্র তাঁর একার কৃতিত্ব নয়, তাঁর মতে-এই কৃতিত্ব কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্যের। কারণ, জেলা পুলিশের সকল সদস্য ও কক্সবাজারের নাগরিকবৃন্দ জেলার আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় সহযোগিতা নাকরলে এ বিরল অর্জন হয়ত কখনো সম্ভব হতোনা। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) সিবিএন-কে আরো বলেন এ বিশাল প্রাপ্তি তাঁর ও তাঁর বাহিনীর পেশাগত দায়িত্ব, কর্তব্য ও কর্মের পরিধিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশ ও মানুষের কাছে জেলা পুলিশকে ঋনী করেছে। আবারো রেঞ্জ সেরা হওয়ায় জেলা পুলিশ ও জেলাবাসীর মর্যাদা আরো বৃদ্ধি হয়েছে, পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, পুলিশের প্রতি গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। তিনি বলেন ১৬ মাসে ৫ বার রেঞ্জ সেরা হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে গৌরবের বিষয় ও জেলা পুলিশের জন্য প্রশংসনীয় রেকর্ড। তিনি বলেন-কৃতকর্মের মূল্যায়ন হওয়ায় কর্মস্থলে সাহসিকতা ও অদম্য মনোবল নিয়ে কাজ করতে আরো স্পৃহা ও উদ্যোম বেড়ে যাবে। এ প্রাপ্তি পুলিশকে আরো জনবান্ধব ও সেবামুখী করে তুলবে। দাপ্তরিক কাজের গতি ও সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন-এ পুরস্কার আমার জীনের একটা মাইলফলক। ঝুঁকি ও ত্যাগের স্বীকৃতি পেলাম এবং অপরাধ দমনে অদম্য মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম তাঁর কর্মজীবনের আরো সাফল্যের জন্য সবার কাছে দোয়া ও সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। এই অপরিসীম অর্জনে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্য অধম্য আত্মবিশ্বাস, প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) তাঁকে এই গৌরবময় প্রাপ্তিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক (বিপিএম বার-পিপিএম), পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।