মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
রামুর কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া আর নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ও দৌছড়ি ইউনিয়নের সচেতন অভিভাবকের ঠিকানা ও বাতিঘর কচ্ছপিয়া কে.জি স্কুল। দু’হাজার সাত সালে এ স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারী যে কোন মূল্যায়নে সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষর রাখেন এ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে পিএসসি/পিইসি পরীক্ষায় ২০০৭ সাল থেকে আজ অবধি ফেল নেই এ প্রতিষ্ঠানে। এর উপর জিপিএ-৫ এবং বৃত্তিও সমান গতিতে পেয়ে আসছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এই যে অন্ধকারে বাতিঘর প্রতিষ্ঠা হয়-যেটি এলাকার মানুষকে আশা পূরণের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন সেই থেকেই।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ এবং পিইসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার আগে-পরে শত বছর পার হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে প্রায় ৫০ হাজার জনসংখ্যার এ কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে আজ অবধি একজন গেজেডেট অফিসারের জন্মও নেয়নি। নেই আর নেই এর মধ্যে আছি আমরা।অথচ ডজন ডজন কর্মকর্তা রয়েছে এ মানের অন্য এলাকায়। আর এ কারণে কচছপিয়া সহ আশপাশের অনেক সচেতন ব্যক্তি ককসবাজার,চট্টগ্রাম বা ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সন্তানদের পড়ানোর চেষ্টা করছেন। তারা বলেন, কিন্ত যারা মধ্যমানের বা গরীব পরিবার তাদেরও এধরণের সখ আছে যে, তারাও আধুনিক মানের শিক্ষা দেবেন-তাদের সন্তানদের। কিন্তু শত বছরেও তাদের এ স্বপ্ন ছিলো স্বপ্নের আদলেই। আর অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে এ কে.জি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এলাকার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষার ফেরিওয়ালা মাঈনুদ্দিন খালেদ। যেটি এ অজপাড়া গায়ের সহজ সরল মানুষের ঠিকানা। গেজেটেড অফিসার করার স্বপ্নের বাতিঘর। আদব-কায়দা,বোধ,দেশপ্রেম সহ সব কিছুরই আলোকবর্তিকা।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাঈল নোমান। স্কুল প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মৌলানা আলী আকবর,বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও অভিভাবক মোহাম্মদ শফিক, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন টুক্কু, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বাপ্পি,সাংবাদিক মো: ইউনুছ,এম আবু শাহমা,নাছির উদ্দিন,অভিভাবক আবদুল মান্নান সাদেকুর রহমান শাহিন,প্রমূখ। এছাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম,শিক্ষিকা আছমাউল হুসনা,মাস্টার আবু নাছের,মাস্টার ওমর ফারুখ ও খুশনে আরা সহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলের সকল অভিভাবক ও শুভাণূধ্যায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।