বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মমতাজ বেগম নামের এক পান দোকানী নারীকে হেনস্থা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হেনস্থার শিকার মহিলা লাইটহাউস এলাকার মৃত সুলতান নবীর স্ত্রী। গত মঙ্গলবার বিকালে শহরের কলাতলীস্থ হোটেল লংবীচ সংলগ্ন পূর্বের খালি মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
হেনস্থার শিকার মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, তিনি প্রতিদিনের মতো কলাতলীর উল্ল্যেখিত ঐমাঠে অবস্থিত পানের দোকানে বেচাবিক্রি করছিলেন। এসময় ৪/৫ জন লোক গাড়ী নিয়ে তার দোকানের সামনে দাড়ান।
কিছুক্ষণ পরে একজন ব্যাক্তি গাড়ী থেকে নেমে এসে মমতাজ বেগমকে বলেন তিনি গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা নাম তার জাহেদ বলে পরিচয় দেন। পরিচয় দিয়ে তিনি ওই জমিতে পানের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে মমতাজ বেগমের সাথে বাক-বিতন্ডা করেন। এক পর্যায়ে টানাহেঁচড়া করে ঐ নারীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। এমন অবস্থায় মমতাজ বেগম চিৎকার দেন। এসময় তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। ঐ নারীর চিৎকার শুনতে পেয়ে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জাহেদ এবং গাড়ীতে অবস্থিত লোকজন গাড়ি নিয়ে মুহুর্তের মধ্যে পালিয়ে যান।
মমতাজ বেগম আরো অভিযোগ করে জানান, কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কলাতলী এলাকার গিয়াস নামের ব্যক্তির পৈত্রিক জমিকে গণপূর্তের বলে দাবি করছেন গণপূর্ত বিভাগ। যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে অপর মামলা নং ১৪৭/১১ বিচারাধীন এবং মহামান্য হাইকোর্টেরও নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। সে কারণে জমি দখল করতে না পারায় ওই জমির মালিক থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা দাবি করছেন গণপূর্তের কতিপয় লোকজন। চাঁদা না পাওয়ায় ওই জমিতে ভাড়ায় দোকান চালানো মমতাজ বেগমকে আটক করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন জাহেদ গণপূর্তের ওই লোক বলে দাবী করেন মমতাজ বেগম।
তবে এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।