নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর তালিকায় ত্যাগি ও পুরাতন নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ উঠেছে। অধিকন্তু যারা জীবনেও আওয়ামী লীগ করেনি কিংবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী নয় এমন লোকদেরকেও কাউন্সিলর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাউন্সিলর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ভাই, বোন বা আত্মীয় স্বজনকে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ত্যাগী নেতারা।
ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুমনগরের বাসিন্দা ওয়াজ কবিরের অভিযোগ, ১৯৭১ সাল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত জড়িত। নিজের এলাকায় যখন আওয়ামী লীগের নামগন্ধও ছিলনা, তখনও তিনি আওয়ামী লীগের কাজ করেছেন, সভা-সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বলতে গেলে ইউনিয়নে হাতেগোনা কয়েকজন প্রবীন আওয়ামী লীগারের মধ্যে তিনি একজন।
বঙ্গবন্ধু পাগল ওয়াজ কবিরকে নিয়ে একটি ফিচারও করেছিল দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, অনেক সুসময়ের কোকিল এখন আওয়ামী লীগার পরিচয় দিলেও তার মত আরো অসংখ্য ত্যাগী নেতা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর তালিকাভুক্ত হতে পারেননি।
ওয়াজ কবির দুঃখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ করতেন বলে তিনি মারা গেলে তাকে এলাকায় কবর দিতে দিবেনা বলেও হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়েননি ওয়াজ কবির। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা ক্ষমতার এই সময়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কর্মীরা মূল্যায়ন হয়নি।
১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত একই এলাকার আব্দুস ছবি। যেকোনো সভা-সমাবেশ বা দলীয় কর্মসূচির ডাক পেলেই সব কাজকর্ম ফেলে ছুটে যান শ্রমজীবী এই মানুষটি। কিন্তু তার মতো অসংখ্য খেটে খাওয়া বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এখন মূল্যায়ন হচ্ছে না। বংশ ও টাকার কাছে হেরে যাচ্ছে তারা।
আব্দুস ছবি দুঃখ করে বলেন, বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে একমাত্র তিনিই অনাস্থা দিয়ে ভয়েস অব আমেরিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের কাউন্সিলর তালিকায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
আব্দুস ছবির অভিযোগ, জীবনে আওয়ামীলীগ করেনি বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, বিএনপির রাজনীতি করেছে, এমন অনেকে কাউন্সিলর তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ত্যাগি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। যারা বর্তমান নেতৃত্ব আছেন তারা এসব ত্যাগী কর্মীদের খোঁজও রাখেন না বলে অভিযোগ আব্দুস ছবির। তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।