আবুল কালাম , চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর গনশুনানি শেষে জানায় হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যেসহ প্রায় দেড় শতাধিক অভিযোগ পেয়েছে বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) গণশুনানি শেষ এসব তথ্য জানান দুদক কর্মকর্তারা।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার প্রায় দেড় শতাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ইকিউপমেন্ট অপারেশন সেক্টরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা অনিয়ম, বন্দরে ১-৪টি গেটে পণ্য বহনের ট্রাক থেকে ঘুষ নেওয়া, মেরিন সাইডের অনিয়ম ও দুর্নীতি, কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সময় হয়রানি, জেটিতে ডিসি ও এডিসির ঘুষ বাণিজ্যের নানা অভিযোগ। গত ৮ দিন ধরে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক ও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।

শাহ আলম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‌‘বন্দরে প্রতিটি মালামাল আনলোড করলে সেখানকার কর্মচারীরা প্রথমে বলে, কত দেবেন? দরদাম হওয়ার পর কাজ শুরু করে। টাকা না দিলে কনটেইনারে মালামাল আনলোড করে না তারা।’

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, বন্দরের ভেতরে প্রবেশের ১২টি গেটের মধ্যে ১ থেকে ৪ নম্বর গেটে প্রবেশ করতে (গাড়ি প্রতি) ২০০ টাকা, ডিউটিরত সার্ভেয়ারকে ২০০ টাকা, ইয়ার্ডের ডিউটিরত এএসআইকে ১০০ টাকা দিতে হয়। টাকা দিলে গাড়ি চলে।’

দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গণশুনানি উপলক্ষ্যে প্রায় দেড় শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ভুক্তভোগীদের। অভিযোগগুলোর কাল (মঙ্গলবার) গণশুনানি করা হবে। যেসব অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করার মতো সেগুলো সমাধান করা হবে এবং যেগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান করার মতো নয়, সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে প্রধান কার্যালয় বরাবরে অধিকতর তদন্তের জন্য সুপারিশ করা হবে।’

এর আগে, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিটি সেক্টর ও বিভাগের ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি ও হয়রানি অভিযোগে পরিপ্রক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর থেকে চারটি ক্যাম্পে অভিযোগ সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়াম হলে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে