মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিষাক্ত ক্যামিক্যল দিয়ে পাকানো কলা বিভিন্ন বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। ভ্যান গাড়ি,রিকসা,সিএনজি অটো-রিকসা করে এ সব কলা সরবরাহ করা হচ্ছে জেলা ও শহরের বিভিন্ন বাজারে।
সরেজমিনে দেখা যায়,পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে দোকানে দোকানে ঝুলছে কাঁচা-পাকা কলার কাঁদি। পাকা কলাগুলো দেখতে হলুদ রঙের হলেও গন্ধ নেই। সদরের কয়েকটি আড়ত ঘুরে দেখা যায়, মেঝের এক কোণে মোটা পলিথিনে ঢেকে রাখা কলার স্তুপে আগুন জ্বালিয়ে তাপ দেওয়াা হচ্ছে। আর মেডিসিন মিশ্রিত পানি ছিটানো হচ্ছে কাচা কলা গুলোতে । যার কারনে দ্রুত কলার রং হলুদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ সব কলা আড়তে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক সাথে কথা হলে তা এ প্রতিবেদককে জানান, পোড়ানোর আগে কাঁচা কলার ছড়া রাইপেন বা ক্যালসিয়াম কার্বাইড-মিশ্রিত পানিতে ডোবানো হয়। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পাকানো হয় কলা। পৌর সদরের প্রায় ১০টি’র অধিক কলার আড়ত রয়েছে এ সব আড়তে কলা পাকানো হয়। সদরের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা নেতৃত্বে জড়িত এ সব কলার আড়ত। কৃত্রিমভাবে পাকানো এ সব কলা খুব দ্রুত পচেও যায়।
হাটহাজারী এ বিষয়ে এক চিকিৎসকের কাছে নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,কোন ধরণের ক্যামিক্যাল দিয়ে পাকানো ফল মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ। তাই কলা ক্যামিক্যলে না মিশানো উত্তম আর যদি কেহ মেশান তবে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ আইনে তার কঠোর শাস্তির বিধান আছে।
এ সব কলা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পৌর সদরে আড়ত গুলোতে কলায় রাসায়নিক মেশানো বন্ধে শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ছড়িয়ে পড়বে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও শহরে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।