এফ এম সুমন, পেকুয়া, (কক্সবাজার) :
ওমানে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পেকুয়ার শাহাব উদ্দিনের পরিবারের দিনকাটছে অনাহারে অর্ধাহারে। পরিবারের একমাত্র অবলম্বনকে হারিয়ে খুবই কষ্টে রয়েছে তার পরিবারটি। পরিবারের এক প্রতিবন্ধী শিশুসহ ছয় সন্তানদের লেখাপড়া ভরণপোষণ ও প্রতিবন্ধী শিশুর চিকিৎসা করাতে প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছে পরিবারটি। জানা যায়, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে প্রায় ১০ বছর আগে মরুভুমির দেশ ওমানে পাড়ি জমান বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা এলাকার মৃত বাঁচা মিয়ার পুত্র শাহাব উদ্দিন। এ বছরই তার দেশে আসার কথা ছিল, কিন্ত দেশে সে আসলেও এসেছে তার নিথর দেহ। গত ৪জুন ঈদের সময় ওমানে কাজ সেরে ফেরার পথে রাস্তা পার হবার সময় পরপর দুটি দ্রুত গতির গাড়ি তাকে চাপা দিলেই ঘটনাস্থলে শাহাব উদ্দিনের মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, আমরা খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। আমাদের অসহায় পরিবারের উপার্জন করার মতো আর কোন লোক নাই। নিহত শাহাব উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোছাইন বলেন, আমার বাবা বিদেশে দূর্ঘটনায় মারা গেছেন আজ আমরা অসহায়। কেউ আমাদের খবর নিচ্ছেন না। সরকার বা যদি ওমান এম্বাসি আমাদের এ দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে আমাদের কে যে ক্ষতি পুরন দেয়ার কথা তাতে যদি সহায়তা করে তাহলে আমরা উপকৃত হবো। সে অভিযোগ করে বলে ওমান সরকার কর্তৃক ক্ষতিপুরন দেবার কথা থাকলেও এখনো অনেক যোগাযোগ করেও ক্ষতিপুরণ মিলছেনা। এদিকে এ ব্যাপারে ওমান এম্বাসির শ্রম ইউং এর কর্মকর্তা কামাল হাছানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রথমে পাওয়ার অব এ্যটির্নি লাগবে। এসব দূর্ঘটনার ক্ষতিপুরনের জন্য দেড় দুবছর সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।