সংবাদদাতা:
বিশ্বব্যাপী হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির মত নানান অনৈতিক কর্মকান্ডে জনমনে অস্থিরতা চলছে। আর এ সকল অপরাধ গুলো সংগঠিত হচ্ছে কেবল রাসুল (সা.)’র আদর্শকে ভুলে মানবগড়া মতবাদের দ জন্য। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে রাসুল (সা.)’র আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কেননা রাসুল (সা.)’র আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব।রামুতে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) এ বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।
ঐতিহাসিক ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) রামুতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল। আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কক্সবাজার ও রামু উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষে ১০ নভেম্বর সকাল ৯টায় রামু হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা প্রাঙ্গন হতে এক ওস্তাজুল ওলামা রাজারকুল মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কক্সবাজার জেলার সচিব ও আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ নকশাবন্দীর সদারতে আজিমুশশান জশনে জুলুস র্যালী বের করা হয়।র্যালীটি রামু চৌমুহনী স্টেশন হয়ে,রামু উপজেলা গেইট হয়ে রামু বাইপাস চট্টগ্রাম কক্সবাজার হাইওয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মাদরাসা প্রাঙ্গনে এসে সমাপ্ত হয়।পরে সেখানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ রামু উপজেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তারা বলেন,
আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সময়ে ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত একটি সভ্যতা। বর্বর, বেদুঈন, যাযাবর, শিক্ষা ও তমুদ্দিনের আলো থেকে বঞ্চিত একটি জাতি। অন্যায় জুলুম ও অনৈতিকতার সয়লাব চারিদিকে, যেখানে ভুলুন্ঠিত হচ্ছিল মনুষ্যত্ব প্রতিনিয়ত। তখনো মানবজাতি আদিম জাহেলিয়াতের ঘুম থেকে জাগেনি। ঠিক সেই সময় অরাজকতার ঘুটঘুটে অন্ধকারে আকস্মিকভাবে জ্বলে উঠলো আলোক মশাল। সভ্যতার সূর্যোদয়ের দায়িত্ব নিয়ে ৫৭০ সনের
১২ই রবিউল আওয়াল পৃথিবীতে আবির্ভূত হলেন সমগ্র মানবজাতির মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।তাঁর যাদুর ছোঁয়ায় নবুওয়াতের মাত্র ২৩টি বছরে আরবরা বিনির্মাণ করলো এক নতুন পৃথিবী। জীবনের ক্ষতস্থান থেকে যে উৎকট দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল তা রাসুল (সাঃ) এর পরশে পরিবর্তিত হয়ে সুবাসিত আলোকবর্তিকায় পরিণত হল। তাই সামাজিক অবক্ষয় রোধ, অন্যায়-জুলুম ও অনৈতিকতার হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে ইনসাফপুর্ন, শান্তিময় ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য আমাদেরও রাসুল (সাঃ) এর আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে।
বক্তব্য রাখেন আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন সানী,স্বাগত বক্তব্য রাখেন,আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ রামু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মোহাম্মদ ছালামত উল্লাহ।বক্তব্য রাখেন বিআরডিবির চেয়ারম্যান শামসুল আলম, জোয়ারিয়ানালা চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স,রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, মুফতি আবদুর রশিদ হক্কানি, মাওলানা রেজাউল করিম,মাওলানা শোয়াইব উল্লাহ, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা কাজী আবু বকর সিদ্দিকী, মাওলানা সালেহ আহমদ,হাজী নুরুল ইসলাম,মোস্তফা মুবাশ্বের সাদেক লাবু,আবদুল আজিজ, আজিজুল ইসলাম, নুরুল আলম,মোহাম্মদ ইসলাম, শামসুল আলম, এস এম ছফিউল্লাহ মুনির,হাফেজ তারেকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, এস এম নিয়ামত উল্লাহ, আহসানুল হক,মোহাম্মদ ইমরান,খাজা বাকিবিল্লাহ, মাওলানা তারেকুল ইসলাম,মাওলানা রমিজ আহমদ,মাওলানা নুরুল ইসলাম,মাওলানা মিজানুল্লাহ,মাওলানা জাকের,মাওলানা আলম,মাওলানা শাহ আলম,হাফেজ মমতাজ, আবদুল কাদের,মাওলানা মোজাম্মেল খাজা ছফিউল্লাহ, মোবারক হোছাইন, মাহের ফয়সাল,আবদুল্লাহ,তৈয়্যবসহ আনজুমানে নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার ও রামু উপজেলার নেতৃবৃন্দ। জুলুসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রামু, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট,বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা,ছাত্রসেনা,হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ,রামু উপজেলা,গাউসিয়া কমিটি,বিভিন্ন মাদরাসা,মসজিদের খতিব ও ইমামবৃন্দ ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগণ জুলুসে অংশগ্রহণ করে। মিলাদ, কিয়াম, মুনাজাত ও তাবারুক বিতরণের মধ্য দিয়ে মাহফিল সমাপ্ত হয়।
মহানবীর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
