ছৈয়দ আলম, কক্সবাজার :
ক্ষমা ভিক্ষা-আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছেন লাখো মুসল্লি। আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে কক্সবাজার সমুদ্রতীরের ডায়াবেটিক পয়েন্টের ঝাউবীথি।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হয়েছে কক্সবাজারে অনুষ্টিত হওয়া তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা। অবশ্য বৃষ্টির কারনে নির্ধারিত সময়ের আগেই এবারের ইজতেমার আখেরী মোনাজাত করে ইজতেমা সমাপ্ত করা হয়। সকাল ৮টা নাগাদ আখেরী মোনাজাতে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। মোনাজাতের সময় চারদিকে লাখো মুসল্লির কণ্ঠে উচ্চারণরিত হয় আল্লাহ আল্লাহ ধ্বনি।
কক্সবাজারে অনুষ্টিত হওয়া জেলা ইজতেমা গত ৭ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ৯ নভেম্বর। শনিবার দিবাগত রাত ও ফজরের নামাজের পর থেকে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে বৃষ্টিতেও ইজতেমা মাঠে মুসল্লিদের ঢল নামে। চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা জসিম উদ্দিন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
বয়ান : শনিবার শেষদিন বাদ ফজর থেকে আম ও খাসবয়ানে মুরব্বিরা দ্বিনের দাওয়াত, মেহনত, তাবলিগের উদ্দেশ্য, আগামী এক বছরের করণীয় এবং নতুন জামাতের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন। মুরব্বিরা বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে দ্বিনের দাওয়াতে ব্যস্ত থাকা। দ্বিনের মেহনত মূলত প্রতিটি মানুষের প্রকৃত কাজ। এ কাজ নবীওয়ালা কাজ। মেহনতের মাধ্যমে দিল জিন্দা করা যায়। যে যত বেশি মেহনত করবে সে তত বেশি কামিয়াবি হাসিল করবে। দুনিয়া হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়াকে কেউ যদি স্থায়ী ঠিকানা মনে করে তাহলে ভুল হবে। দুনিয়া থেকে আখেরাতের বাণিজ্য করে নিতে হবে। আল্লাহর তরিকা অনুসারে জীবন চালাতে হবে।
দেশ বিদেশের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশ নেয়া কক্সবাজারের ইজতেমায় মোনাজাতে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দু’হাত তুলে মুসলিম উম্মার শান্তি ঐক্য সুখ ও সমৃদ্ধি চাওয়া হয়। ইজতেমা শেষ করে মুসল্লিদের অনেকে যাবেন চিল্লায়। মসজিদে মসজিদে থেকে তারা প্রচার করবেন ইসলাম ধর্মের বাণী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।