ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ মন্তব্য করেছেন একই কমিটির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টির নেতার পুত্র ও সাবেক ছাত্র সমাজ নেতা প্রভাব খাটিয়ে জাহাঙ্গীর চৌধুরী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করেছেন।
জাহাঙ্গীরকে এখন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করছেন বলেও দাবি করেছেন সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী।
একটি অনলাইন টেলিভিশনের স্বাক্ষাতকারে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী দাবি করেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী একজন অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী লীগ।
হামিদ চৌধুরী দাবি করেন, একসময় জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এরশাদের ছাত্রসমাজের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বা তার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। বর্তমান সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বাবা নুরুল ইসলাম চৌধুরী ঠান্ডা মিয়া ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। জাতীয় পার্টির মনোনয়নে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে তার পরিবার বিএনপির প্রার্থী শাহাজাহান চৌধুরীর ধানের শীর্ষের পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। ঐ সময় তারা বিভিন্ন জনসভায় ধানের শীর্ষের পক্ষের প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখে ছিলেন।
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, অনুপ্রবেশকারী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এখন আসল রুপ ধারণ করেছে। তার কারনে দলের ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হচ্ছে। দলের পদ ও নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে জাহাঙ্গীর চৌধুরী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিওর কাজ মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। কিন্তু যেই নেতাকর্মীদের তিনি ব্যবহার করেছেন তাদের ছিটেফুটোও দেয়নি বলে জানান হামিদুল হক চৌধুরী।
সাধারন সম্পাদকের এসকল বিষয়ে দলের সভানেত্রী বরাবরে দুটি আবেদন করেছেন বলে ওই স্বাক্ষাৎকারে জানান হামিদুল হক চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।