মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএস এইড গুরুত্বের সাথে দেখছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সংস্থাটির ডেপুটি চীফ বনি গ্লিক। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা বিশাল সংখ্যক মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গা শরনার্থী আশ্রয় দেওয়ার কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষতির বিষয়টি আমরা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএইড) ডেপুটি এডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক গণমাধ্যমকে এ মন্তব্য করেন। বনি গ্লিকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসময় উপস্থিত ছিলেন। সে সময় তারা রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্যানিটেশন ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রতিনিধি দলটি প্রথমে বেসরকারি সংস্থা ইপশার কার্যালয়ে যায়। সেখানে মানবপাচারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করেন। মানবপাচারের শিকার লোকজনের সঙ্গে আলাপ করেন তারা। এরপর প্রতিনিধি দলটি রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকায় যায়। ওখানে রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ করেন তারা।

বনি গ্লিক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে আসা এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখা।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের প্রতি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছে, যদিও সেটি মোটেও যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে ধারাবাহিক চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি এমন একটি মানবিক ইস্যু যাতে মার্কিন প্রশাসনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষও বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এছাড়া ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার বিষয়গুলোও আমরা যথাযথ মূল্যায়ন করছি। এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছার কথা আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেখছি।