এম.মনছুর আলম, চকরিয়াঃ
চকরিয়াায় প্রথম বারের মতো অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সাথে জড়িত ৯ জুয়াডিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালস্থ এস এ পরিবহণের দক্ষিণ পাশে কিচেন মার্কেটের ভেতরে মোহাম্মদ আলী’র কুলিং কর্ণারের ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ এ সময় তাদের হেফাজত থেকে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল সেটসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালস্থ এস এ পরিবহণের দক্ষিণ পাশে কিচেন মার্কেট এলাকায় অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার আসার চলছিল এধরণের গোপন সংবাদ পাই থানা পুলিশ। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমানের নির্দেশনানুযায়ী থানার উপপরিদর্শ (এস আই) প্রিয়লাল ঘোষ, এস আই মফিজুর রহমান, এএসআই খারুল, এএসআই পলাশ বড়ুয়া, এএসআই কামাল (২) ও এএসআই জেড রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমেই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় পৌর কিচেন মার্কেটের ভেতরে মোহাম্মদ আলীর কুলিং কর্ণারের দোকান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার খেলার সময় হাতেনাতে জুয়ার সাথে জড়িত ৯ জুয়াডিকে আটক করা হয়। আটক জুয়াডিরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভা ৮নম্বর ওয়ার্ডের কোচপাড়া এলাকার আলী আহমদের ছেলে মো.এমরান (২৫), একই এলাকার মৃত ফজল করিমের ছেলে রুহুল আমিন (৩৫), ডেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কা এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে মো.ছাদেক (২৮), পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়া পাড়া এলাকার নুর কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০), একই এলাকার মো.শামসুল আলমের ছেলে মো.মামুন (২৫), কুমিল্লা বরুডা উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের মুরি আরা এলাকার মৃত অহিদ আলীর ছেলে মো.সোহেল (২৯), চকরিয়া পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের নিজপানখালী এলাকার মো.হোছনের ছেলে মো.ইউনুছ (২৬), একই এলাকার লোকমান হাকিমের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৬), পৌরসভা ৮নম্বর ওয়ার্ডের কোচপাড়া এলাকার কালুমিয়ার ছেলে মো.জাকির (৪৫)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল সেটসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন,
থানা পুলিশের একটি টীম অভিযান চালিয়ে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার সাথে জড়িত ৯ জুয়াডিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটক আসামীরা প্রশাসনের অগোচরে দীর্ঘদিন ধরে পৌর কিচেন মার্কেটের ভেতরে বসে অবৈধভাবে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া খেলে আসছিল। তারা বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। আটকের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি আরও বলেন, আটক আসামীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, আইনানুগ কর্তৃক বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশন ও সহয়তা করার অপরাধে সংশ্লিষ্ট আইনে থানার এস আই প্রিয়লাল ঘোষ বাদী মামলা দায়ের করেছে। অনলাইন ক্যাসিনো এই চক্রের মূলহোতাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।