সিবিএন ডেস্ক:
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন থেকে ২০ মাইল পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজের ধাক্কায় একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন। ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) বিকালে কোস্টগার্ডের পূর্বজোনের স্টাফ অফিসার লে. কমান্ডার সাইফুল বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।
সাইফুল বলেন, ‘৪ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটিকে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে এফবি মিনসন্ধানী নামের ট্রলারটি ডুবে যায়। এটি চট্টগ্রামের এমএম অ্যালায়েন্স লিমিটের ট্রলার। এ ঘটনায় ৫ নভেম্বর ট্রলারের মালিক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নৌবাহিনী ৫ নভেম্বর দুপুরে দুটি জাহাজ নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এরপর আমাদেরও একটি জাহাজ উদ্ধারে যায়। এখন পর্যন্ত ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে আমরা কাজ করছি।’
ট্রলারটি গত ৩১ অক্টোবর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যায়, ফিরে আসার কথা ছিল আগামী ১২ নভেম্বর। এর মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ট্রলারে ২৪ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাণিজ্যিক জাহাজের ধাক্কায় এফবি মিনসন্ধানী ফিশিং ট্রলাটি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ডুবে যায়। সংবাদ পেয়ে গভীর সমুদ্রে টহলে থাকা নৌবাহিনীর জাহাজ সমুদ্রজয় তখনি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের টেকনাফে স্থানীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

খবর পেয়ে অপর একটি নৌবাহিনী জাহাজ অপরাজেয় দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। নিখোঁজ ৯ জেলেকে উদ্ধারে নৌবাহিনীর জাহাজ সমুদ্রজয় ও অপরাজেয় নিরবচ্ছিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানায় আইএসপিআর।
এমএম অ্যালায়েন্সের ম্যানেজার মো. শফিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পরপরই আমরা নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও পুলিশকে জানিয়েছি। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় জেলেরা সমুদ্রে ঝাপ দেন। পাশে থাকা ট্রলারে তারা ওঠে যান। তবে এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।’ আইএসপিআর ট্রলারটিতে ২৪ জন জেলে থাকার কথা বললেও তিনি ২৩ জন ছিলেন বলে জানান।