এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
চকরিয়ায় মো.ইব্রাহীম (৪৫) নামের নিরীহ এক কৃষককে অস্ত্র মামলায় ভুয়া গ্রেফতারী পরোয়ানায় আইনী জটিলতা থেকে রক্ষা করলেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান। নিরীহ কৃষক ইব্রাহীম উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাকারা এলাকার সোলতান আহমদের ছেলে।
কৃষক ইব্রাহীম জন্মের পর থেকে কখনও ঢাকা যায়নি। তারপরও সে রাজধানীর মিরপুর থানার অস্ত্র মামলার আসামী। খেটে-খাওয়া নিরীহ কৃষক গ্রেপ্তারী পরোয়ানামূলে বুধবার সকালে পূর্বানী পরিবহণে করে বান্দরবান যাওয়ার সময় আকস্মিক ভাবে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হলে ঘটনার মূল রহস্য বের হয়। কৃষক ইব্রাহিম গ্রেপ্তার হয়ে থানায় নেয়া হলে তার বাবা সোলতান আহমদ বিষয়টি নিয়ে থানায় স্বশরীরে উপস্থিত হন। ধৃত কৃষকের ব্যাপারে কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান ও বেশ কয়েকজন সাংবাদকর্মী ঘটনার সঠিক তথ্য জানার জন্য ওসি হাবিবুর রহমানের সাথে আলাপ করেন। ওসি হাবিবুর রহমান কৃষক ইব্রাহীমের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেখে সন্দেহ পোষন করলে ওসি সাথে সাথে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাছে জানতে চাইলেন মিরপুর থানার ৮৯ (৪) ১৯-এ অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত কোন মামলা রয়েছে কিনা? মিরপুর থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে ৫মিনিট পর তিনি মিরপুর থানায় এ ধরণের কোন মামলা হয়নি বলে জানান। তখন ঘটনার বিষয়টি পরিস্কার হলো যে পরোয়ানাটি সম্পূর্ণ ভুয়া। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পুলিশ সুপার কক্সবাজার কার্যালয়ের মাধ্যমে ডাকযোগে চকরিয়া থানায় প্রেরণ করেন। তাৎক্ষনিক ভাবে চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান জি.ডি করে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের সোলতান আহমদের ছেলে নিরীহ কৃষক মো.ইব্রাহীমকে অস্ত্র মামলার ভুয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থেকে ছেড়ে দিয়ে আইনী জটিলতা থেকে রক্ষা করে মহানুভবতা পরিচয় দিলেন।
আলীকদম উপজেলার আমতলী চর ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি প্রতারক চক্র মূলত এ ভুয়া কাজটি করেছে বলে সূত্রে জানায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মিরপুর থানার ওসি’র সাথে ঘটনার বিষয়ে কথা হয়। তবে ঘটনার সাথে বাস্তবতার কোন মিল না থাকায় কৃষক ইব্রাহীমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।