মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
ভর্তুকির সার তামাকে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি।

তিনি বলেন, তামাক চাষ আর বেশী দিন নয়। সরকারও এ চাষ করতে ধীরে ধীরে নিরুৎসাহিত করছেন। তবু বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তামাক কোম্পানী ও চাষিকে আইন মানতে হবে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে ১০ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।

বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে তামাক চাষে প্রচলিত আইন অনুসরণ ও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করণ সভায় সাদিয়া আফরিন কচি আরো বলেন, উপজেলার কোথাও ভর্তুকির সার যেন তামাক চাষে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের তামাক চাষে ব্যবহার না করা, তামাক চুল্লিতে কাঠ না পুড়ানো,নদী বা খালের তীরবর্তী ৫০ ফুটের মধ্যে তামাক চাষ বা তামাকের বীজতলা না করাসহ অনেক বিষয়ে নির্দেশনা দেন তিনি।

সভায় উপজেলা দুর্নতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শাহ সিরাজুর রহমান সজল বলেছেন, তামাক চাষিরা স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে সার না পেলে রামু উপজেলা বা বাহির থেকে সংগ্রহ করেন। তাই র্ভতুকির সার তামাক চাষে ব্যবহার বন্ধে এক যোগে বান্দরবান এবং ককসবাজারের যাবতীয় সার বিক্রেতাদের সজাগ রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। আর তামাক কোম্পানী গুলো যেন তাদের কৃষকদের ইউরিয়া সারের জন্যে টাকা না দিয়ে সরাসরি সার দেন তারও দাবী জানান এ বক্তা।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো: ইমরান মেম্বার বলেন, দেশীয় আইন মেনেই তামাক চাষ চায় এলাকার মানুষ। না হয় পরিবেশ ধ্বংস হবে।

উপজেলা হাসপাতাল প্রধান (টিএইচও) ডা: আবু জাফর মো: সেলিম বলেন, তামাকে নাগরিকের ভয়ানক অনেক রোগ হচ্ছে। বিশেষ করে ক্যান্সার,হৃদরোগ সহ ৮টি বড় রোগের ঝুকিঁ থাকে। নদীর মাছ ধ্বংস হচ্ছে তামাক চাষের বিষে। তাই তামাক আর নয়। তামাক চাষ বাদ দিয়ে বিকল্প চাষে পা দিতে হবে ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- থানার ওসি (তদন্ত) কানন চৌধুরী,উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মংহ্লা র্মামা,উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কুদ্দুস,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের প্রধান উপদেষ্ঠা উপদেষ্ঠা সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ, উপজেলার বৃটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো,আবুল খায়ের টোব্যাকো ও জাপান টোব্যাকো কোম্পানীর প্রতিনিধি,হেডম্যান কারবারী প্রতিনিধি, কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্টরা এতে উপস্থিত ছিলেন।