মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোর কাছাকাছি পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে গড়ে উঠা সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত দলের খোঁজে র্যাব হেলিকপ্টার অভিযান চালিয়েছে। একইদিন একই সাথে র্যাবের আর একটি দল পাহাড়ে স্থল অভিযান চালায়। বুধবার ৬ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টেকনাফের বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজারের টেকনাফের শরণার্থী শিবিরের কাছের পাহাড়গুলোতে ড্রোন অভিযানের পর এবার হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে। এই প্রথম ডাকাত ধরতে কক্সবাজারে রাষ্ট্রের কোন বাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করলো। কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে হেলিকপ্টার থেকে বেশ কয়েকটি ডাকাত দলের আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব-১৫ এর কর্মকর্তা। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
হেলিকপ্টার অভিযানে নেতৃত্বে দেন কক্সবাজার স্থল র্যাব ১৫-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ। তিনি বলেন, এর আগে ড্রোন দিয়ে পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। পাহাড়গুলো অনেক বড় হওয়ায় ড্রোন দিয়ে ডাকাত দলের সন্ধান পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই এবার হেলিকপ্টার দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সঙ্গে লাগানো পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়েছে। দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে সন্ধান পাওয়া ডাকাত দলের আস্তানাগুলো চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পরে ওই সব আস্তানায় সময় সুযোগ বুঝে অভিযান চালানো হবে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এসব পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাত কূখ্যাত আবদুল হাকিমসহ কয়েকটি ডাকাত দলের সদস্য রয়েছে। তারা খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। অতি দ্রুত তারা র্যাবের জালে আটকা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন–র্যাব ১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব (এক্স), সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার অ্যাডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, বিএন সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।