বার্তা পরিবেশক:
সৈকত ঝিনুক শিল্প বহুমুখি সমবায় সমিতির নিবার্চনে সভাপতি পদে আনোয়ার উল্লাহ ও সম্পাদক পদে হাবীবুর রহমানের প্রার্থীতা জেলা সমবায় কর্মকতার্ কর্তৃক বাতিল করা মনোনয়ন হাইকোর্টের আদেশে বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এবং সমবায়ের বিধি উপেক্ষা করে ২ জনের মনোনয়ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ৩০ অক্টোবর বাতিল ঘোষনা করেন জেলা সমবায় কর্মকতার্ আবদল লতিফ। বাতিলের বিরুদ্ধে উভয় প্রার্থী হাইকোর্টে রীট করলে ৪ নভেম্বর উভয় পক্ষের শুনানী এবং যুক্তির্তক উপস্থাপন শেষে বাতিলকৃত মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খাইরুল আলমের যৌথ বেঞ্চ এবং জেলা সমবায় কর্মকতার্র বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।
জানাযায়, সৈকত ঝিনুক শিল্প বহুমুখি সমবায় সমিতির ঘোষিত তপশীল অনুযায়ি ১৯ অক্টোবর মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল এবং বাছাই ছিল ২০ অক্টোবর। এদিন ১৭ প্রার্থীতারাই মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয় নিবার্চন কমিশনার। সভাপতি প্রার্থীতা আনোয়ার উল্লাহ ও সম্পাদক প্রার্থীতা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধী সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থীতা মোশারফ হোসেন দুলাল ও কাশেম আলী জেলা সমবায় কর্মকতার্ বরাবরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রার্থীতার বিরুদ্ধে আপিল করেন। কিন্তু সমবায় কর্মকতার্ অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ার পর ও সমবায়ের বিধি উপেক্ষা করে অজ্ঞাত কারনে আনোয়ার উল্লাহ ও হাবিবুর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল করে ৩০ অক্টোবর মোশারফ হোসেন দুলাল ও কাশেম আলীকে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় বিজয়ী ঘোষনা করেন। সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রার্থীতারা বহাল চেয়ে সভাপতি পদে রিট নং ১২১৩০, এবং সম্পাদক পদে ১২১২৯ দায়ের করলে আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে উভয়ের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষনা করেন এবং জেলা সমবায় কর্মকতার্র বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। উভয় প্রার্থীর নিবার্চনে আর বাধা থাকলনা।
এদিকে প্রার্থীতা বৈধ হওয়ার পর সাধারন সদস্যদের মাঝে নিবার্চনী আমেজ বিরাজ করছে। আদালতের এ আদেশ পেশীশক্তি ও কালো টাকার বিরুদ্ধে চপেটাঘাত বলে মনে করেন ভোটাররা। আগামি ১১ নভেম্বর উক্ত সমিতির নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।