মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌর সদর এলাকায় ইউএনও হাতে এবার ধরা পড়ে ভয়ংকর নেশার ই-সিগারেট। কিশোর গং বড় ভাইদের সান্নিধ্য এ সব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রিয় ভয়ংকর ই-সিগারেট এখন আসক্ত হয়ে পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) রুহুল আমিন পুলিশ ফোর্স নিয়ে কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ই-সিগারেট গুলো জব্দ করেন। অর্থলোভী ব্যবসায়ীরা নানা কৌশনে এ সব সিগারেট বিক্রি করছে।
যে বয়সে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা কিন্তু সে বয়সে তারা আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ সব শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গিয়ে ভয়ংকর ই-সিগারেট নামক নেশার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন কিশোর সমাজ নেশায় আসক্ত হয়ে নানা অপরাধ যাদের হাতে বই, খাতা কলম থাকার কথা তাদের হাতে পাওয়া যাচ্ছে নেশা জাতীয় এসব সামগ্রী। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাবসায়ীরা ই-সিগারেট সরবরাহ করে স্কুল পড়ুয়া কোমল মতি শিক্ষার্থীদের কাছে। শুধু নগরীতে নয়,হাটহাজারী উপজেলাতেও ই-সিগারেট বিক্রির এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি হাটহাজারী উপজেলার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলগামী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরাই মূলত ই-সিগারেটের ক্রেতা এ মর্মে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি জানার পর হাটহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রুহুল আমিন।
ইউএনও জানান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাকি দিয়ে দলবেধে ই-সিগারেট পান করছে শিশুরা। নেশাগ্রস্থ হয়ে পরে বড় ভাইয়ের সান্নিধ্য সর্বশেষে কিশোর গ্যাং এ জড়িয়ে পড়ছে এসব শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পৌরসভার চারটি দোকানে অভিযানে পরিচালনার সময় এসব দোকানের ব্যাবসায়ীরা জানান, মূলত ১৪ থেকে ১৫ বছরের কিশোররাই এ ই-সিগারেটের ক্রেতা। তারা দোকানীকে আরও বলে,বেশি দামের ই-সিগারেট আনবেন। অনেক দোকানদার এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, তারা শিশুদের কাছে ই সিগারেট বিক্রি করে অন্যায় করেছেন।তাদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে।অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।