বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উপজেলার কৈয়ারবির ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক মোহাম্মদ আজমগীর মাতব্বরকে আওয়ামী লীগ বহিস্কার করার দাবি উঠেছে। রাজাকারের ভাতিজা এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতা ও জামায়াত দলীয় সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদের তৎকালীন পিএস’ থাকার অভিযোগে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমুলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাজাকারমুক্ত ও অনুপ্রবেশমুক্ত আওয়ামী লীগ গড়তে এই ‘সুবিধাবাদী’ আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিস্কারের দাবি উঠেছে। এই দাবিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল ইউনিয়নের আহ্বায়ক করা হয় আজমগীর মাতব্বরকে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভাই আওরঙ্গজেব মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে তাকে আহ্বায়ক করেছেন অভিযোগ নেতাকর্মীদের। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র থেকে তৃণমুল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কমিটিতে রাজাকার ও অনুপ্রবেশমুক্ত কমিটি গড়তে নির্দেশ দিয়েছেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা। কিন্তু এই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে একইভাবে টাকার বিনিময়ে আজমগীর মাতব্বরকে আবারো কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করার চেষ্টার করা হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, আজমগীর মাতব্বর জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতা। একই সাথে তিনি রাজাকার ছালামত খান এর আপন ভাতিজা। শুধু তাই নয়, তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক জামায়াত দলীয় এমপি হামিদুর রহমান আযাদের একনিষ্ঠ ব্যক্তি ও দীর্ঘ দিন তার পিএস ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আনচারুল করিমের পরায়জয়ে জামায়াতের পক্ষ হয়ে বড় ভূমিকা ছিলো এই আজমগীর মাতব্বরের। জামায়াতের রাজনীতি ও জামায়াত নেতা হামিদ আযাদের পক্ষ হয়ে প্রচারণা অনেক ছবি এখনো বিভিন্ন মাধ্যমে ঘুরে বেড়ায়। গত নির্বাচনেও আজমগীর মাতব্বরের ভাতিজা রুবেল হামিদুর রহমান আযাদের প্রধান এজেন্ট ছিলো। এমনকি এর আগে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতিও করেছেন। তার এক ভাই মোজাহেদুল ইসলাম সেলিম চট্টগ্রামের ৮ মার্ডার মামলার আসামী এবং বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছে।
কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে মরিয়া হয়ে উঠে আজমগীর মাতব্বর। তার অংশ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ম্যানেজ করে হুট করে অনুপ্রবেশ করে ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ ভাগিয়ে নেয়। আগামী কাউন্সিলে নিজে সভাপতি হওয়ার জন্য তার পছন্দের ও জামায়াত সংশ্লিষ্টদের দিয়ে ওয়ার্ড করার চেষ্টা করছে। এতে বাদ দেয়া হচ্ছে প্রকৃত ত্যাগী আওয়ামী লীগদের।
নেতাকর্মীরা আরো অভিযোগ করেন, দেশব্যাপী বর্তমানে আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে সারাদেশে চলমান বিভিন্ন স্তরের কাউন্সিল ও কমিটিতে রাজাকার ও অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে আবারো জামায়াত নেতাকে আজমগীর মাতব্বরকে সভাপতি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।