মোঃ ফারুক, পেকুয়াঃ
পেকুয়ায় মধ্যম মগনামা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে দপ্তরী মোঃ ইউসুপ কর্তৃক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার বিকালে স্কুল চলাকালে এঘটনা ঘটে। পুলিশ কয়েকদফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযুক্ত দপ্তরী মোঃ ইউসুপ পলাতক রয়েছে। সে ইউনিয়নের পশ্চিমকূল এলাকার মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে।
ভিকটিমের পিতা ছরওয়ার আলম বলেন, আমার মেয়ে স্কুল থেকে আসার পর তার শরীরে আঘাতের চিহৃ দেখতে পায়। এর কারণ জানতে চাইলে মেয়ে বলে তার সাথে ইউসুপ খারাপ (ধর্ষণ) কাজ করেছে। দ্রুত স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিশাত জাহানকে ঘটনাটি অবগত করি। তিনি কোন ধরণের সহযোগিতা না করায় ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমকে অবগত করি। তিনিই ঘটনাটি থানা প্রশাসনকে অবগত করেন। রাতেই পুলিশ বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে। আমরা পুলিশকেও ধর্ষণ করার কথাটি জানিয়েছি।
তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিশাত জাহান বলেন, মেয়েটি আমাকে ধর্ষণের কথা বলেনি। শুধু বলেছে তাকে টয়লেটে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপিড়ন করেছে। আমরা সমাধা করার জন্য বিষয়টি অন্য কাউকে অবগত করিনি।
স্কুলের সভাপতি আবদুল্লাহ ফারুক বলেন, দিনের ঘটনা হলেও আমি বিষয়টি জেনেছি রাতে। তাৎক্ষনিকভাবে আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাকে এবিষয়ে কিছুই জানায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা পরিবার থেকে জানানো হয়েছিল। রাতেই আমি থানারর ওসিকে অবগত করি। থানা প্রশাসন ঘটনাটি তদন্ত করছে তাই আমি ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টা কিনা বলতে পারবো না।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সালামত উল্লাহ বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীর ঘটনাটি জানার পর ওসিকে নিয়ে আমরা স্কুলে গিয়েছি। সবার সাথে কথা বলেছি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
ওসি কামরুল আজম বলেন, পরিবার থেকে ধর্ষণের অভিযোগ করে হলেও মনে হচ্ছে যৌন নিপিড়নের মত ঘটনা। আমার পুলিশ ও আমি ঘটনাস্থল তদন্ত, ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা রাতেই করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত ইউসুপ পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে স্কুল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোঃ ইউসুপ দপ্তরী নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে স্কুলে প্রভাব দেখাতে শুরু করেন। বিনা কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করতো। তার কাজ গুলো শিক্ষার্থীদের দিয়ে করাতেন। না করলে তার উপর চালাতেন নির্যাতন। এসমস্ত ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা জানলেও অদৃশ্য কারণে তারা ছিল সম্পূর্ণ নিরব। বিগত তিন বছর আগেও এক স্কুল শিক্ষার্থীকে যৌন নিপিড়ন চালিয়েছিল এ দপ্তরী। তার কোন বিচার না হওয়ায় তিনি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন। এবারেও হয়তোবা তিনি অদৃশ্য শক্তির কারণে পার পেয়ে যাবেন। তাদের দাবী দ্রুত তাকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হউক।