৩ নভেম্বর দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ‘মহেশখালীতে রাজাকার ও বিএনপির সন্তানদের নিয়ে আওয়ামী লীগের কমিটি’ শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।

সংবাদে লেখা হয়েছে আমার (মকছুদ আলম) বাবা শাহাদাত কবির তালিকাভুক্ত রাজাকার। কিন্তু তালিকাতো দূরের কথা; আমার বাবা কোনোভাবেই রাজাকার নয়। এই সংক্রান্ত দলিল বা সাক্ষী প্রমাণও কেউ দিতে পারবে না।

আমার স্পষ্ট বক্তব্য, আমি দীর্ঘদিন জীবনের প্রথম রাজনীতি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত আছি। এই সময়ে আওয়ামী লীগের সব ধরণের কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছি এবং নিচ্ছি। মূলত ঘটনা হচ্ছে- কাউন্সিলে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে হেরে গিয়ে নাসির আহমদ ও তার ভাই জাফর আলম ষড়যন্ত্রমূলক এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে তারা কাউন্সিলের ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর্যন্ত তারা কোনো নেতিবাচক বক্তব্য প্রচার করেনি। কাউন্সিলরদের ভোটে হেরে যাওয়ার পর তারা দুই ভাই মিলে আমার ও কাউন্সিলর প্রক্রিয়ার নামে জঘন্য অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। সেই থেকে তারা ফেসবুককে এই অপপ্রচার চালিয়ে শেষ পর্যন্ত পত্রিকায় প্রকাশ করেছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার আরো বক্তব্য হলো- কাউন্সিলর মনোনয়নে ৬জন সমন্বয়কের মধ্যে সদ্য সাবেক সভাপতি হিসেবে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন নাসির আহমদ। সাথে সদস্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি দেও। তারাই যাচাই-বাছাই করে কাউন্সিলর তালিকা করেছেন। সেখানে আমার বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোনো ধরণের হস্তক্ষেপ ছিলো না। কাউন্সিলের দিনও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে ভোট নিয়েছেন। এতে বিন্দুমাত্র অনিয়ম হয়নি অথবা আমি কোনো উর্ধ্বতন নেতাকে একটা টাকা দিইনি। দলের জন্য ত্যাগের প্রতিদান হিসেবে কাউন্সিলররা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।

আমরা মনে করছি, পরাজিত প্রার্থী নাসির আহমদ ও তার ভাই এলাকায় নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিল নিয়েও ষড়যন্ত্র করে তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি সবার কাছে বিনীত আহ্বান করছি এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী

মকছুদ আলম

নবনির্বাচিত সভাপতি

হোয়ানক ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।