শাহেদ মিজান, সিবিএন:
আত্মসমর্পণের আগ্রহ প্রকাশ করায় মহেশখালী উপজেলা কালারমারছড়া আলোচিত জিয়া বাহিনী প্রধান জিয়াউর রহমান জিয়াকে সেফহোমে নেয়া হয়েছে। সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণের জন্য জিয়াকে পুলিশের সেফহোমে নেয়া হয়। রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় চকরিয়ার চিরিঙ্গা থেকে তাদেরকে সেফহোমে নেয়া হয়। জিয়াউর রহমানের চাচা সরওয়ার আজম এই তথ্য জানিয়েছেন। সেফহোমে যাওয়ার প্রাক্কালে গাড়িতে অবস্থান করা জিয়াউর রহমানের একটি ইতিমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
সরওয়ার আজম জানিয়েছেন, সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় জিয়াউর রহমান আত্মসমর্পণের জন্য রাজি হন। সে মোতাবেক তাকে সেফহোমে নিয়ে গেছে। তার সাথে কামাল নামে আরো সহযোগি রয়েছে। এর আগে জিয়া বাহিনীর আরো অন্তত ১৫ জন সদস্য গত কয়েক দিনে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে সেফহোমে চলে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে- মানিক, আয়াতুল্লাহ, আবদু শুক্কুর, সিরিপ মিয়া, একরাম ও বশির।
জানা গেছে, কালারমারছড়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার তাগিদেই জিয়া ও তার বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছে। তারা চান, তারা আত্মসমর্পণ করেও হলে কালারমারছড়ায় শান্তি ফিরে আসুক এবং এলাকাছাড়া পরিবারগুলো এলাকায় ফিরতে পারুক। এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করতে সেফহোমে নেয়ার আগে সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর আকুতি জানিয়েছেন জিয়াউর রহমান।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় কালারমার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক শরীফের অনুসারী অন্তত ১৫জনও আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে সেফহোমে চলে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে- এক সময়ের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর, আবুলু, সোনা মিয়া, জমির উদ্দীন।
প্রসঙ্গত, গত বিএনপি জোট সরকারের আমলে কালারমারছড়ায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের তৎকালীন সভাপতি জিয়ার বাহিনী ও ইউনিয়ন যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ছৈয়দ নূরের (নিহত) বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন তীব্র সংঘর্ষ হতো। এসব সংঘর্ষের জের ধরে অন্তত ২০ জনের প্রাণ গেছে। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এলাকা ছাড়া হয়ে পড়ে জিয়ার গোষ্ঠী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।