সংবাদদাতা: অপহরণের ৩০ দিন পর  উদ্ধার হলেন হাবিবউল্লাহ (৩৮) । সে সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের নতুন মহাল গ্রামের মৃত আবদু সোবহানের ছেলে ।  গত অক্টোবর মাসের শুরুতে অপহরণ হয়।

হাবিবউল্লাহ স্ত্রী পারভীন আক্তার জানান , অপহরণের ২০ দিনের মাথায় পরিবারে ফোন আসে। ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
হাবিবউল্লাহ’র স্ত্রী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জিডি করে।এস আই রাজিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অপহৃত হাবিবউল্লাহ’র  স্ত্রী পারভীন আক্তারের দাবি তার স্বামী চৌফলদন্ডী একই গ্রামের কালা পুতু থেকে বিদেশে ভিসা বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল।পাওয়া টাকা খুজলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। আর তারাই হাবিবউল্লাহকে মেরে ফেলতে অপহরণ করেছে। চৌফলদন্ডীর কালা পুতু  প্রায় ৫/৬ টি ডাকাতি,অস্ত্র,মারামারি,দখলবাজি সহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী।

পরিবার জানায় ,দীর্ঘ ৩০ দিন পর  বান্দরবান লামা উপজেলা থেকে স্হানীয় পুলিশ বিটের সহযোগিতায় ও কক্সবাজার থানার যৌথ অভিযানের মাধ্যমে হাবিবউল্লাহকে জীবিত অবস্থায় ফেরত পাওয়া গেছে।

তার শরীরে  আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।তাকে মুখ ও চোখ বেধে রেখে ৩০ দিন মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকার জন্য অত্যাচার নির্যাতন করা হয়। সে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

 

হাবিবউল্লাহ পরিবার ও এলাকার লোকজন এই ঘটনায় জড়িত মুক্তিপণ দাবিকারী সন্ত্রাসী বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী কালাপুতু গংদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

কক্সবাজার সদর থানার এস আই রাজিব বলেন,অপহরণকারীদের একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।