ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরে শিশুসহ ১৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে মাঝেরপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়।
তবে, রোহিঙ্গাদের কি উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? ঘটনায় কারা জড়িত? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এলাকাবাসী ধারণা করছে, তাদেরকে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য আনা হয়েছিল।
ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী মুঠোফোনে সিবিএনকে জানান, রাতের অন্ধকারে কিছু নারী পুরুষের গতিবিধি ও চলাফেরা সন্দেহজনক হলে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে গেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েসহ ১৫ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করেছে।
পরে ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ ও আবদুস শুক্কুরের মধ্যস্থতায় তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আটক রোহিঙ্গাদের সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
রাতের অন্ধকারে রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? তা স্থানীয়দের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুশ শুক্কুর জানান, বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে হাত বদল হয়ে তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে এসেছে বলে স্বীকার করেছে। তবে, কার মাধ্যমে তারা ইসলামপুর পর্যন্ত পৌঁছেছে, তার সঠিক নাম ও পরিচয় দিতে পারেনি।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, আটক রোহিঙ্গাদের পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আসল রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে।