রামু প্রতিনিধি :

রামু উপজেলার কাউয়ারখোপে অপহরণ, চুরি-ডাকাতি সহ অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৮টায় কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিম গনিয়াকাটা নাপিতাঘোনা গ্রামে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ছানা উল্লাহ বাবুল, স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাম্মেল হক, স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম, ছাত্রনেতা আল মামুন প্রমূখ।

সভায় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ বলেন, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ডাকাতি, হত্যা, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যের উপর হামলাসহ অসংখ্য মামলার আসামী মোস্তাক আহমদকে সম্প্রতি রামু থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে গ্রেফতার করায় কাউয়ারখোপবাসী আনন্দিত। তাকে গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্থি ফিরে এসেছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার যেসব সন্ত্রাসী এখনো অপহরণ, ডাকাতি চালিয়ে আসছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য এলাকার সর্বস্তুরের জনসাধারণকে ভূমিকা রাখতে হবে।

সমাবেশে গ্রামবাসী দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোস্তাক আহমদকে গ্রেফতার করায় পুলিশ প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, গত ২৯ অক্টোবর রাতে মোস্তাক আহমদ ও তাদের সহযোগিরা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য শাহ আলমকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মোস্তাক আহমদকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে মোস্তাক সহ ৩জনকে আসামী করে রামু থানায় মামলা (নং ৩৮) করেন, হামলার শিকার শাহ আলম।

এ মামলার অপর ২ আসামী মমতাজ মিয়া ভূট্টো ও রফিকুল ইসলাম এখনো পলাতক থাকলেও কৌশলে মামলা প্রত্যাহারের জন্য মামলার বাদী শাহ আলমকে হুমকী-ধমকি দিচ্ছে। এ কারনে শাহ আলমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ওই এলাকার নুর আহমদের ছেলে কমিউনিটি পুলিশের সদস্য শাহ আলম জানান, হামলাকারি মোস্তাকের নেতৃত্বে সম্প্রতি রাবার বাগানে নিয়মিত অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও এলাকায় লোকালয়ে রাতের আধারে চুরি-ডাকাতি সংগঠিত করে আসছে।। সম্প্রতি তিনি রাত্রিকালীন পাহারায় মোস্তাক দেখে ফেলেন এবং তা স্থানীয়দের অবহিত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তাক ও তার সহযোগিরা তাকে মারধর করে। এদিকে মোস্তাক আহমদকে গ্রেফতার করায় এলাকার লোকজন মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করে।

এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা রামু থানার এসআই সোহেল রানা জানান, ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী মোস্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, ওই এলাকায় অপরাধ দমনে পুলিশ কাজ করছে।