আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্লকে গত কিছুদিন যাবৎ কারেন্ট পোকার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল কৃষক পরিবারের সদস্যরা।
তবে বিষয়টি কৃষি অফিসারের নজরে আসার পর কৃষকদের সু পরামর্শ , কিট নাশক প্রয়োগ, আলোক ফাদ পদ্বতি, ধান ক্ষেত পরিচর্যা সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে পোকা দমন সম্ভব হয়েছে বলে জানালেন কৃষক আচিং থোয়াই মার্মা।
তিনি জানান প্রথমে তিনি ধান ক্ষেতের ছত্রামক রোগ বালাই বুঝতে পারি নাই। বিষয়টি দেখার পর কৃষি অফিসার রফিকুল অালম কে অবগত করা হলে তিনি সরজমিনে ধান পরিদর্শন করে বিভিন্ন প্রকার কিট নাশক ব্যবহার সহ অন্যান্য পদ্বতি মেনে কাজ করায় পোকা দমন সম্ভব হয়।
কৃষক ওসমান জানান তার বাড়ী হল পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে তিনি এক একর জমি চাষাবাদ করেছেন বাইশারী এলাকায় কারেন্ট পোকার আক্রমন তিনি বুঝতে না পারায় নিজের ইচ্ছে মত কিটনাশক ছিটিয়ে পোকা দমন সম্ভব হয়নাই। পরে কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী কিট নাশক প্রয়োগ করায় পোকা এখন নিয়ন্ত্রণে। তিনি আরো জানান রামু এলাকায় ও এধরনের কারেন্ট পোকার আক্রমন হয়েছ।
সরজমিনে পুরো বাইশারী এলাকা ঘুরে দেখা যায় পোকার আক্রমন ঠেকাতে কৃষি উপসকারী কর্মকর্তাদের চোখের ঘুম হারাম করে ফেলেছে। রাতে পোকা দমনে আলোক ফাদ পদ্বতির ব্যবহার,দিনে কিট নাশক প্রয়োগ, কৃষকদের নিয়ে কমিটি গঠন, সভা, সমাবেশ সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
গত ২৭ শে অক্টোবর এর দিকে কারেন্ট পোকায়
ধান ক্ষেত আক্রমনের বিষয়টি নজরে আসলে কৃষি অফিসার সেদিন থেকে দিন রাত কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বলে কৃষকরা এই প্রতিবেদকের নিকট স্বীকার করেন। বর্তমানে কারেন্ট পোকা এখন নিয়ন্ত্রনে আসায় কৃষদের মাঝে অনেকটা স্বস্থি ফিরেছে।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল আলম, শহিদুল আলম, ও মোঃ,ইয়াছিন জানান কারেন্ট পোকা (বাদমী)ঘাস ফড়িং) দমনে কৃষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, কিটনাশক প্রয়োগ, আলোক ফাদ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষক নিয়ে সমাবেশ, উঠান বৈঠক সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে পোকা এখন নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।
তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য কারেন্ট পোকা শুধু বাইশারীতে সীমাবদ্ব নয়, এই পোকার আক্রমন পার্শবর্তী রামু উপজেলায় গর্জনিয়া, ইদগড়,কচ্ছপিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় হয়েছে।
তবে বাইশারী এলাকায় কৃষি অফিসারের সঠিক তদারকিতে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।