প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর নেচারেল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর উদ্যোগে “খামার ব্যবস্থাপনায় এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার এবং প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি” শীর্ষক এক কর্মশালা গত বুধবার টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনএইচসিআর এর আর্থিক সহায়তায় সিএনআরএস এর ইমপ্র্রুভড ন্যাচারাল এনভায়রনভেন্ট এন্ড পিচফুল কোএকজিসটেন্স ফর রিফিউজিস এন্ড হোস্ট কমিউনিটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সিএনআরএস লাইলিহুড অফিসার শাহ কামাল এর সঞ্চালনায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ শওকত আলী, ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ, ইউএনএইচসিআর এর সহকারি লাইভলিহুড অফিসার নাহিদ হাসান রাজু, উপজেলা সিএনআরএস প্রকল্প ব্যবস্থাপক এমএ হাসান মুন্না এবং কোঅর্ডিনেটার প্রিয়াল মুৎসুদ্দি প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্টানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকার্তাবৃন্দ, এআইটি ও এলএসপিবৃন্দ এবং সিএনআরএস এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, “অনেক খামারি না জেনে না বুঝে মাত্রাতিরিক্ত যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে। যা মানব স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইন রয়েছে। সেসব আইন মেনে খামারিরা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন না। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক খামারিকে প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে রেজিষ্টেশন করার কথা। কিন্ত খামারিরা তা করছেন না। একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে এসব বিষয় চিন্তা করে তার ব্যবসা করতে হবে। আর এসব নিয়ম অমান্য করে কোন ব্যবসায়ী সফল ভাবে তার খামার পরিচালনা করতে পারবেন না। নিয়ম না মেনে খামার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক হারে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে মহামারীর মতো ‘সুপার বাগ’ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। তাই যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরিবর্তে খামারের বায়োসিকিউরিটির (জীব-নিরাপত্তা) উপর জোর দিতে হবে।”

কর্মশালায় টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ব্রয়লার ও লেয়ার খামারী অংশগ্রহণ করেন।