নীতিশ বড়ুয়া, রামু :

কক্সবাজারের রামুর তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী অন্ধ শয়ন মল্লিককে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। দশ বছরের শিশু শয়ন মল্লিক উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বণিকপাড়ার অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান। প্রায় আড়াই বছর আগে থেকে শয়ন মল্লিক দু’চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করেন। ধীরে ধীরে আলোকোজ্জ্বল এ পৃথিবীর আলো পুরোটাই তার কাছে অন্ধকার হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শয়নের পাশে দাঁড়ান কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য গরীববন্ধু সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। তাকে পৃথিবীর আলো দেখার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। যে কথা, সে কাজ। কথা দিয়ে কথা রাখলেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) অসহায় শিশু শয়ন মল্লিককে ঢাকা নিয়ে পরদিন মঙ্গলবার সকালে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. গোলাম মোস্তফা, প্রফেসর ডা. শহিদুল্লাহ, প্রফেসর ডাক্তার সাইফুল্লার নেতৃত্বে চিকিৎসকদল শয়ন মল্লিকের চোখের চিকিৎসা শুরু করেন।

এ ব্যাপারে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি সকলের কাছে অন্ধ শয়ন মল্লিকের জন্য দোয়া কামনা করে বলেন, অসহায় ও অন্ধ শয়ন মল্লিকের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।

তৃতীয় শেণীর ছাত্র অন্ধ শয়ন মল্লিকের মামা সুজিত ধর জানায়, শয়ন মল্লিক প্রায় আড়াই বছর আগে থেকে চোখে ঝাপসা দেখতে থাকে। অবস্থা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করে। বাড়তে থাকে চোখের যন্ত্রনা। শয়ন মল্লিক এখন আর চোখে কিছুই দেখতে পায়না। এমনকি সূর্যের আলো থেকেও তাকে দুরে থাকতে হয়। বাড়ির বাইরে যাওয়াও তার পক্ষে সম্ভব হতো না। ফলে বন্ধ হয়ে যায় শয়ন মল্লিকের লেখা-পড়া এবং খেলাধুলা। তার চোখে আলো ফেরাতে সাধ্যমতো চিকিৎসা করানো হলেও আর্থিক অভাবের কারনে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়ে উঠেনি। গত জুলাই মাসে মা-বাব হারা অন্ধ শয়ন মল্লিকের চিকিৎসার বিষয়ে আমরা আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করি। পরদিনই রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক এবং এমপি কমলের ব্যক্তিগত সহকারি আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ অনেকেই আমাদের ছোট্ট কুঁেড় ঘরে গিয়ে অন্ধ শিশু শয়ন মল্লিকের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে গত ৬ জুলাই আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি উত্তর ফতেখাঁরকুল বনিক পাড়াস্থ কুড়ে ঘরে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র অন্ধ শয়ন মল্লিককের সাথে কথা বলেন এবং শয়নের চোখে আলো ফিরিয়ে দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আজ আমাদের শয়নের চিকিৎসা করাচ্ছেন এমপি কমল ভাই। আমরা এমপি কমল ভাই, সাংবাদিকবৃন্দসহ যারা অন্ধ শয়নের চোখে আলো ফেরাতে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।