নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সৈকত ঝিনুক শিল্প বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাবিবুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে জেলা সমবায় অধিদপ্তর। ২৭ অক্টোবর এক শুনানি শেষে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান পরস্পর যোগসাজশে সমিতির ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯০৯ এত টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দফায় তিন লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৪৬ হাজার টাকা এবং তৃতীয় দফায় ৩১ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাৎ করে।
জানা যায়, সমবায় অধিদপ্তরের নিয়ম আগামী ১১ নভেম্বর সৈকত ঝিনুক শিল্প বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা। নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন মোশাররফ হোসেন দুলাল আনোয়ারুল্লাহ ও আব্দুর রহিম। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন কাসেম আলী ও হাবিবুর রহমান। কিন্তু ২৭ অক্টোবর সবার উপস্থিতিতে শুনানি করে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার উল্লাহ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাবিবুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করে দেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা।

সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, বর্তমান সভাপতি আনোয়ার উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সমিতির নাম ব্যবহার করে নামে বেনামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গ্রামীণ ফোন কোম্পানির সাথে বিজ্ঞানের চুক্তি করে প্রায় ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে অথচ সমিতির কাছে হিসাব দেখিয়েছেন মাত্র ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া সমবায় কর্মকর্তার কাছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সমিতির সভাপতি আনোয়ার উল্লাহ বলেন, টাকাগুলো মুলত আমরা রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যয় করেছি।