মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে পর্যটক বাহী জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাহাজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকল নভেম্বরের মাসের শুরুর দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে নভেম্বরের ৪ তারিখ শুক্রবার থেকে তারা জাহাজ চলাচল শুরু করতে চান।

টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ রবিউল হাসান সিবিএন-কে বলেন, নভেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ সিবিএন-কে জানান, (বিআইডব্লিউটিএ) আসন্ন পর্যটন মওসুমে এই নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ৫টি জাহাজ অনুমতি চেয়েছে। এরমধ্যে গত ২৩ অক্টোবর ৩টি জাহাজকে আগামী ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া জাহাজ তিনটি হলো-কেয়ারি সিন্দাবাদ, দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ ও ফারহানা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র পেলে জাহাজ গুলো চলাচল শুরু করতে পারে।

জাহাজ ব্যবসায়ী ও হোটেল, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা সিবিএন-কে জানান, গত কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে ইচ্ছুক পর্যটকেরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু জাহাজ চলাচল এখনো শুরু না করায় এসব পর্যটকেরা কক্সবাজার বেড়াতে আসতে চাচ্ছেন না।

তারা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন ব্যবসায়ীরা হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রেখেছেন। জাহাজ চলাচলের খবর দ্বীপে পৌঁছালে সেখানে পর্যটকদের আতিথিয়েতার অপেক্ষায় থাকা সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে।
প্রসংগত, প্রতিবছর পর্যটন মওসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে জাহাজে সৌখিন ভ্রমণ করা কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের একটা অংশে পরিণত হয়েছে।