সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা সী-ইন পয়েন্টে ঝুপড়ি দোকানগুলোর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবদুল গণি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে সামাজিক সংগঠন ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবদুল গণি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ সংগঠনের সমন্বয়ক কলিম উল্লাহ, নাজিম উদ্দিন, মহসিন শেখ, ইব্রাহিম খলিল মামুন, এইচ,এম নজরুল ইসলাম, ইসমাঈল সাজ্জাদ, এম.এ আজিজ রাসেল, সাফিনা আজিম, আজিজ উদ্দিন, তারেক হায়দার প্রমূখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের বিভিন্ন সমস্যা ও বিষয় নিয়ে “আমরা কক্সবাজারবাসী” সংগঠন লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সৃজিত ঝাউবন ধ্বংস করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদের দাবীতে “আমরা কক্সবাজারবাসী” দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজারের সকল মহল অবগত রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধাসহ একাধিক পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ও প্রভাবশালী লোকজন ভাসমান হকারের নাম দিয়ে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে। ওইসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ইং তারিখে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) জনস্বার্থে দায়েরকৃত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপ্রতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপ্রতি মোঃ আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। একই সাথে এইসব মার্কেট নির্মাণ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারী করেন আদালত। তাছাড়াও রাষ্ট্রপ্রতির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সমুদ্র সৈকতের ৩০০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসের কিছু কর্মচারীর সহযোগিতায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এই সব দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও আইনের পরিপন্থী।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একটি প্রতিষ্ঠান বা বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলে জায়গা-জমির কাগজসহ অনেক রকম কাগজপত্রের দরকার হয়। কিন্তু সমুদ্র সৈকতের ঝুপড়ি দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানে এর কোনটাই মানা হয়নি। বিষয়টির তদন্তের দাবী রাখে। তাছাড়া সেখানে একটি মিটার দিয়ে শত শত দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং এই সব অবৈধ সংযোগে কোন টাকাই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে না। এর পুরোটাই বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। তাই বর্তমান সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় এসব বিদ্যুৎ এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সমুদ্র সৈকতের অবৈধ ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদে কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে দুর্নীতিমূক্ত করার পদক্ষেপসহ সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ঝুপড়ি দোকানগুলোর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।