নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউনিসেফের ১৫ তম মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১৯-এ পুরস্কৃত হলো কোস্ট ট্রাস্টের কমিউনিটি রেডিও মেঘনা। ‘কন্যা শিশু জন্ম নেওয়ার আশঙ্কায় গর্ভপাত করছেন নারীরা’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য সংবাদ প্রতিবেদন বিভাগে প্রথম পুরস্কার অর্জন রেডিও মেঘনা।
২৭ অক্টোবর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রেডিও মেঘনার এ্যাসিসটেন্ট স্টেশন ম্যানেজার কণিকা রানীর হাতে প্রথম পুরস্কারের ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা মৌসুমী এবং বিখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। ১৫তম মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১৯-এর জন্য রেডিও মেঘনাসহ ৭টি কমিউনিটি রেডিওর ১৭টি অনুষ্ঠান ৪টি বিভাগে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনিসেফ প্রতিবছর এ পুরস্কার প্রদান করে থাকে।
উল্লেখ্য যে, রেডিও মেঘনা (উপকূলের কণ্ঠস্বর) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের একটি কমিউনিটি রেডিও। তথ্যের শক্তিকে উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে সস্পৃক্ত করার লক্ষ্যে কোস্ট ট্রাস্ট সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ভোলা জেলার চরফ্যাশনে এই কমিউনিটি রেডিও প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রেডিও মেঘনা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। রেডিও মেঘনা সমাজে বৈষম্য দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষা, মৎস্য ও কৃষি সম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন, নারী-পুরুষ সমতা ও শিক্ষাখাতে সামাজিক, সংস্কৃতিক ও গ্রামীণ উন্নয়নে উৎসাহী করা এবং জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দরিদ্র মানুষের কণ্ঠ তুলে ধরতে কাজ করে।
নারী ও কিশোরীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার প্রয়াস রেডিও মেঘনার অন্যতম একটি লক্ষ্য। এই কমিউনিটি রেডিওটির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে চরফ্যাশন এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের কিশোরীরা। রেডিওটির ব্যবস্থাপনা, অনুষ্ঠান তৈরি ও প্রচার, কারিগরি ব্যবস্থাপনা, সংবাদ সংগ্রহ ও নিয়মিত প্রচারসহ সার্বিক বিষয়াদি দেখাশুনা করছে ১৫ জন কিশোরী, যারা সবাই পড়াশোনার পাশাপাশি রেডিও মেঘনায় কাজ করে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এফ এম ব্যান্ডের মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখ মানুষ রেডিও মেঘনা শুনতে পারেন। রেডিও মেঘনার ওয়েবসাইটেও বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান শোনা যায়, আছে ধারণকৃত অনুষ্ঠান শোনারও ব্যবস্থা। www.radiomeghna.net ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও প্রায় ৪ লাখ স্রোতা নিয়মিত রেডিও মেঘনার অনুষ্ঠান শুনছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেডিও মেঘনার অনুষ্ঠান শোনা হয়। বাংলাদেশ -ভারতের পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি শ্রোতা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেডিও মেঘনার অনুষ্ঠান শুনে থাকেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।