শাহেদ মিজান, সিবিএন:
উখিয়ার ইনানী সৈকত থেকে ৪০ কোটি টাকার মূল্যের আট লাখ ইয়াবার একটি বড় চালান উদ্ধার করেছে র্যাব। এই চালানের সাথে একজন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়েছে। এই বড় চালানের সাথে বিশাল একটি ‘বড় চক্র’ জড়িত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়ে আটক রোহিঙ্গা যুবক। আটক করা ইয়াবার এই বড় চালান নিয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলমাম।
তিনি জানান, সাগর পথে ইয়াবার একটি বড় চালান আসছে- এমন খবর পেয়ে রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইনানী রয়েল টিউলিপ সংলগ্ন সৈকতে এলাকায় অভিযানে যায় র্যাব। অভিযান টের পেয়ে ওই চালানের সাথে জড়িত অন্তত পাঁচ পাচারকারী পালিয়ে গেলেও জড়িত এক রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। তার তথ্যে ভিত্তিতে সৈকত সংলগ্ন ঝোপ থেকে ৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় চালান বহনকারী ট্রলারটি।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব ১৫ কক্সবাজারের সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।
আটক রোহিঙ্গা যুবক জামাল টেকনাফের উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প-২২ এর ব্লক ডি-২ এর মাঝি মোঃ হোসেনের পুত্র।
র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এই পর্যন্ত ধরা পড়া বড় চালানগুলোর মধ্যে এই চালানটি অন্যতম। এই চালানে আট লাখ ইয়াবা রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ কোটি টাকা। এই চালানের সাথে একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে। আটক রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে এই সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাগরে বোট চলাচলের নিষিদ্ধ সময়ে কিভাবে ইয়াবা নিয়ে বোট ঢুকে- এই প্রশ্নের জবাবে উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জবাবদিহিতার আওতায় পড়ে না। সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন।’
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর মুখেও কেন ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। র্যাব ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিয়ে কঠোর অভিযান জোরদার রাখা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা এক বছরে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব না। ইতিমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। ইয়াবা পাচার অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মেজর রবিউল ইসলাম বলেন, ‘শুধু উখিয়া ও টেকনাফ নয়; পুরো কক্সবাজারে ইয়াবার বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলছে। এটা অব্যাহত থাকবে।’