সংবাদদাতা:
মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয় ষষ্ট শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আকতার হাবিবা। সে চট্টগ্রামে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে। কয়েকটি জায়গায় চাকরির তদবির করেও পায়নি। অচেনা পরিবেশ থেকে বাড়িও ফিরতে পারছিল না সে। একপর্যায়ে তার ঠাঁই হয় কোতোয়ালী থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। সেখান থেকে সাতদিন পর ১৪ অক্টোবর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছাত্রীটিকে তাদের হেফাজতে নেয়। শনিবার ছাত্রীটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় সংস্থাটি।
ফারজানার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের উত্তর নতুনঘোনা এলাকায়। তাঁর বাবার নাম নুরুল হোসেন। ফারজানা দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট।
চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘উপলব্ধি’র ব্যবস্থাপক শেলী রক্ষিত বলেন, ১৪ অক্টোবর কোতোয়ালী থানা থেকে ফারজানাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফারজানা হাবাগোবা রকমের। নাম-ঠিকানা ভালোভাবে বলতে পারে না। অনেক কষ্টে ফারজানার ঠিকানা জোগাড় করে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে শনিবার ফারজানাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারজানার মা খুরশিদা আকতার বলেন, মেয়ের খুঁজে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। ২০ দিন পর মেয়েকে খুঁজে পেয়ে খুশি লাগছে। আমার সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল মেয়েটি।
ফারজানাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উপলব্ধি’র ব্যবস্থাপক শেলী রক্ষিত, উপলব্ধির তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষক মো. আসিফুর রহমান, বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফারুক, চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্তের আহ্বান’ এর সদস্য মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ ও রুহুল কাদের। উপলব্ধি চট্টগ্রাম শহর কেন্দ্রীক একটি সমাজসেবামূলক সংগঠন। সংগঠনটি ২০১২ সাল থেকে অনাথ ও নাম-ঠিকানাহীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার কাজ করে আসছে। বর্তমানে ৬২ জন ছিন্নমূল শিশুর ঠিকানা এই উপলব্ধি।