ডেস্ক নিউজ:
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে গড়া রোহিঙ্গা অপহরণকারী ও ডাকাত আবদুল হাকিমসহ অপরাধীদের আস্তানা শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে র্যাব। অভিযানে শীঘ্রই হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র।
আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বাহারছড়া টইংগ্যা পাহাড়সহ সংলগ্ন এলাকায় র্যাবের অভিযান পরিচালিত হয়। এতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পের সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছে। এছাড়া বিশাল পাহাড়ি এলাকায় তাদের খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। এ কারণে তাদের ধরতে আকাশপথে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আপাতত ড্রোন অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। তবে তাদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া টইংগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে ড্রোন নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ অভিযানও চালায় র্যাব-১৫।
এর আগে গত শনিবার সশস্ত্র রোহিঙ্গা বাহিনী পাহাড় থেকে নেমে স্কুলছাত্রী দুই বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা, যার পেছনে হাকিম বাহিনী রয়েছে বলে জানা গেছে। পরে অবশ্য বুধবার ভোরে বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত দুই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। তবে হাকিম বাহিনী এ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়।
টেকনাফের পাহাড়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। তাদের মধ্যে হাকিম বাহিনীর দলটি অন্যতম। এ বাহিনীতে শতাধিক সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে। হাকিম বাহিনীর অব্যাহত ডাকাতি, অপহরণ, হত্যা, লুটপাট ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় সীমান্ত জনপদের গ্রামবাসী অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মিয়ানমার থেকে বড় চালানের ইয়াবা পাচার থেকে শুরু করে পাহাড়ের আস্তানাগুলোকে বাহিনী সদস্যরা বানিয়েছে ইয়াবার ডিপো।
র্যাবের এবারের অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য ওই হাকিম বাহিনী। রোহিঙ্গা শিবির ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকাকে ঘিরে সক্রিয় থাকা সশস্ত্র রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন ও ডাকাত দল মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে শরণার্থী ক্যাম্পসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জনজীবনে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। আর এসব অপকর্মের নেপথ্য নায়ক হিসেবে রয়েছেন রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার আবদুল হাকিম।
এবারের অভিযানে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব এয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আসাদুল আলম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।