ইয়ামিন শাহরিয়ার
(মহেশখালী)
আজ আমাদের দেশটা ছেয়ে গেছে স্বার্থপর মানুষের বিষের লেলিহানে! বর্তমানে অলমোস্ট সবাই প্রয়োজন মেটানোর পরেও আরো বাড়তি সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির জন্য উঠেপড়ে লাগছে! দাবী আদায়ে ঘোষণা দিচ্ছে আমরণ অনশন, আন্দোলন, ধর্মঘট, কলঙ্কিত করেছে ক্রিকেট অঙ্গনকেও! তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, গ্রামের মানুষদের জীবন যাত্রার মান এখনো ২% এর নিচে। দেশে এখনো মাত্র ২৩৫ টাকার দিনমজুর (মহিলা) আছে! বর্তমান বেকারত্বের হার ৬৪%! কৃষকের দিকে তাকান! তাদের এতো পরিশ্রম এর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে কি না! আর আপনারা তাদের তুলনায় কতটা সুখী? ভেবে দেখেন! কিন্তু তবুও নির্লজ্জর মতো দাবী নিয়ে রাস্তায় নামেন! আন্দোলন করেন, ধর্মঘট করেন, অনশন করেন, খেলা বন্ধ করে দেন! পক্ষান্তরে দাবী করেন দেশপ্রেমীক! বাহ বাহ!
যাহোক, তবুও এতো বাধা-বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশ এমন একপর্যায়ে অবস্থান করছে যার প্রত্যক্ষ অগ্রগতি দৃশ্যমান। স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি অর্জনে গত ১০ বছরে ১ নাম্বারে বাংলাদেশ। বেড়ে চলছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, জিডিপি, মাথাপিছু আয়, জীবনযাত্রার মান, বৈদেশিক বিনিয়োগ, গ্লোবাল বিজনেস ইত্যাদি। তাছাড়া আমেরিকার একটি সংস্থা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, “২০২০ সালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভারত কে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ!” ঠিক এই সময় আমাদের উচিত নিজেদের চাহিদা কে আরো সংকুচিত করে দেশের উন্নয়ন কে তরান্বিত করা! উন্নত বিশ্বের কাতারে স্থান পেতে প্রত্যেকের উচিত ত্যাগ স্বীকার করা! কিন্তু আমরা তা না করে তার উল্টো পথে চলছি! চাহিদার চেয়ে বেশি ভোগবিলাসের সুবিধা পেতে উন্মাদ! আন্দোলন, অনশন, ধর্মঘট ইত্যাদির মাধ্যমে দেশজুড়ে সৃষ্টি করছি অস্থিরতা! যার ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ!
ইতিহাস হয়ে আছে, এক বেলা নাস্তার/কর্ম দিবসের টাকা উৎসর্গ করে সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চারপাশ ঘেরাও করেছে দেশের জনগণ। আমরা পেরেছি এইরকম কিছু? না, পারিনি! সুতরাং আমাদের মনোভাবে পজিটিভ পরিবর্তন আনতে হবে! নিজেদের চাহিদা কে বিসর্জন দিয়ে দেশের উন্নয়ন কে আরো বেগবান করতে হবে!
অনেকে হয়তো বলতে পারেন, “বালিশের দাম ৩৭ লাখ, পর্দার দাম ২৩ লাখ, ৮ ইঞ্চি সাইনবোর্ড খরচ ৫ লাখ টাকা। এভাবে লুটে খাচ্ছে শীর্ষে বসবাসকারী কিছু মহাশয়গণ!” হ্যাঁ, এটা সত্য! কিন্তু এমন বিকারগ্রস্ত মস্তিষ্কের মানুষ কে দিয়ে সোনার বাংলা তৈরির স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবেনা! সুতরাং তাদের প্রতিহত করতে হবে! দুর্নীতিবাজ, লুটতরাজদের কে বিতাড়িত করতে হবে! প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে রুখে দাড়াঁতে হবে এ মানুষগুলোর বিরুদ্ধে! তবেই স্বাধীনতার প্রকৃত আলো দেখতে পাবো বলে আশা করি…