মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামে ৫০ কেজি চালের বস্তার পরিবর্তে ৩০কেজি চালের বস্তা গুদামজাত করার ঘটনায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী চাল কেলেংকারীতে অভিযুক্তদের কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে। শনিবার ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের বিমানবন্দর সড়কস্থ সদর খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে চট্রগ্রামের বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহাবুবুর রহমান একথা জানান।

পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, কয়েকটি খাদ্য গুদামে ৫০ কেজি চালের বস্তার পরিবর্তে ৩০ কেজি চালের বস্তা পওয়ায় র‌্যাবের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.এইচ.এম মাহফুজুর রহমান গুদামটি সিলগালা করে দেন এবং জিঙ্গাসাবাদের জন্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন ও দারোয়ানকে আটক করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে র‍্যাব কতৃপক্ষ আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেন। কিন্তু গুদামটি এখনো সিলগালা করা রয়েছে।

তিনি বলেন, এঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ তদন্ত কমিটিতে কমপক্ষে আরো দু’জন তদন্তকাজে অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ সদস্য রাখা হবে। তদন্ত কমিটিকে পূংখানুপংখরূপে তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা সহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হবে। তদন্তে দোষী যে বা যারা হোকনা কেন, তাদেরকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হতে হবে। এ বিষয়ে দোষী কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবেনা।

পরিদর্শনকালে বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে খাদ্য অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক শাহাজামাল, কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেবদাস চাকমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ২৫ অক্টোবর বিকালে র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.এইচ.এম মাহফুজুর রহমান’কে সাথে নিয়ে গুদামে অভিযান চালিয়ে গুদাম সিলগালা করে দেয় এবং উল্লেখিত দু’জনকে আটক করেন। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে খাদ্য পরিদর্শক রাজিয়া সুলতানা ও উপ-খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম গাঢাকা দেয়।