চকরিয়ায় বিয়ে বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে হাজির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষনিক হস্তক্ষেপে অবশেষে স্কুলপড়ুয়া অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ইলমুন নাহার (১৪) অসময়ে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অবশ্য বাল্য বিয়ের খবর শুনে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৩নং ব্লকের ছনুয়াপাড়া গ্রামে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদের খোঁজখবর নেওয়া হয়।

পরে মহেশখালী উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমির মাধ্যমে ওই ছাত্রীটির নিজ এলাকা মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করা হয়।

তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রীর নিজ বাড়ি মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধনের যাচাই শেষে পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে তিনি উপস্থিত হন। মেয়েপক্ষকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে জানানো হয়। পরে কনের মা-বাবা এবং পাত্র ও তাঁর বাবাকে আইনের আলোকে সবকিছু বুঝিয়ে স্থানীয় বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশরকে বিয়ের বিষয়টি জিম্মায় দিয়ে ১৮বছর আগে ওই মেয়েকে (ছাত্রীকে) বিয়ে দেবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দেন।