বার্তা পরিবেশক:

চকরিয়ায় ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া শিশু আনাচ ইব্রাহীম (১৬) হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী চকরিয়া পৌসভার ৭নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম এর পুত্র মোহাম্মদ সোহেল (২৭) ও একই ওয়ার্ডের জাকের আহমদ এর পুত্র মোহাম্মদ বাবু (২০) এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে বলে অভিযোগ তুলেছে শিশু আনাচের পরিবার। প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে মূল আসামীদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ- এমন অভিযোগও করেছেন তারা।

বুধবার বিকেল ৩টায় কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত আনাচের পরিবার এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আনাচ ইব্রাহীমের পিতা হাফেজ নাছের আহমদ, মা তসলিমা জান্নাত, বড় ভাই আয়াছ ইব্রাহিম ও ছোট বোন তসলিমা মেহেরিন।

আনাচের পিতা হাফেজ নাছের আহমদ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস পার হওয়ার পরও শিশু আনাচ হত্যার মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। মামলার এজাহারভুক্ত ৪ জন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে ও আসল অভিযুক্ত মোহাম্মদ সোহেল (২৭) ও মোহাম্মদ বাবু (২০) এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। সোহেল ও বাবু ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে হাজার হাজার জনতার সামনে আনাচকে খুন করে। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে এখনও এই দুইজন আসামী ঘুরাফেরা করছে। শিশু আনাচ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামীদের রিমান্ডে ও নেওয়া হয়নি। একটি প্রভাবশালী মহল আসল খুনীদের রক্ষা জন্য কাজ করছে। দীর্ঘ ৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি আদালতে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। মামলার সাক্ষীদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হয়েছে।

আনাচের পিতা তার পুত্রের হত্যা মামলাটি পিবিআই অথবা সরকারি অন্যকোন তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন করা দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে রাত ৯ টায় চকরিয়ার বানিজ্যিক কেন্দ্র চিরিংগার ওয়েষ্টার্ন প্লাজা মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করার সময় সদ্য এস. এস. সি উত্তীর্ণ হওয়া মেধাবী ছাত্র আনাচ ইব্রাহীম চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন। পরদিন ২৬ মে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন আনাচের বাবা। যার মামলা নং জি. আর. ৫৬/২০১৯ ইং (চকরিয়া)। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জনকে আসামী করা হয়।