নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদরের ঝিংলংজা ইউনিয়নের আলোচিত খরুলিয়ায় চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের আগ্রাসন থামছে না। ভূমিদস্যু গং একের পর এক জমি দখল করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সর্বত্র। এবার এক অসুস্থ মানুষের জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে জসিম উদ্দীন নামে এক ভূমিদস্যুর নেতৃত্বাধীন একটি চক্র। চক্রটি চেয়ারম্যানপাড়ার কিডনি রোগী নূরুল হাকিমের জমি দখলের চেষ্টা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দখল ঠেকাতে রাত জেগে ওই জমি পাহারা দিচ্ছে নারীরা। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অসুস্থ্য নূরুল হাকিম।

অভিযুক্ত ভূমিদস্যু জসিম উদ্দীন সম্প্রতি অসহায় পঙ্গু পরিবারের বসতভিটা জবর দখলের চেষ্টাকারী শফিকের ছোটভাই। তবে এই ঘটনায় শফিক জড়িত নেই বলে দাবি করা হচ্ছে।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, নূরুল হাকিম একজন কিডনি রোগী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আয়-রোজগার করতে পারছেন না। খরুলিয়া বাজারের পাশে প্রধান সড়ক লাগোয়া পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত ৬০/৭০ বছরের ভোগ দখলীয় জমিতে তিনি দোকান ঘর নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়ে কোনো রকম পরিবারের ভরণপোষণ করছেন। সম্প্রতি নূরুল হাকিমের জমির পেছনে সম্পূর্ণ ভিন্ন দাগের একটি বিরোধপূর্ণ জমি ক্রয় করেছে বলে জানিয়ে সেটায় দখলে আসে জসিম উদ্দীন গং। সে জমি দখল করে এবার ভূমিদস্যু জসিম উদ্দীন গংয়ের কুদৃষ্টি পড়েছে নূরুল হাকিমের জমির উপর। তার অংশ হিসেবে বেশ কিছুদিন ধরে স্ব-দল বলে সশস্ত্র অবস্থায় নূরুল হাকিমের মূল্যবান জমিটি দখলের কয়েকবার চেষ্টা চালায় ওই চক্রটি। এই জমিটি দখল করার জন্য জসিম উদ্দীনসহ তার লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই একমাত্র সম্বল এই জমিটি রক্ষায় অসুস্থ নূরুল হাকিমের স্ত্রী, কন্যাসহ তার অন্যান্য স্বজনেরা মিলে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে জসিম উদ্দীন গং। তারা অসহায় নূরুল হাকিম ও তার পরিবারের সদস্যদের লাগাতার হুমকি দিচ্ছে। এতে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। এই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন জানান, জসিম উদ্দীন ও তার ভাইয়েরা মিলে অনেকটা উন্মাদ হয়ে বিরোধপূর্ণ জমিগুলো অল্প দামে কিনে নিয়ে জবর-দখলের খেলায় মেতে উঠেছে। এভাবে ইতিমধ্যে তারা ১২/১৫টি মূল্যবান জমি দখল করে নিয়েছে। এমনকি মসজিদের নাম দিয়ে অসহায় মানুষের জমি দখল করে ফেলেছে জসিম এই চক্রটি। কয়েক বছর আগে রামুর আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ রানার জমি দখল করার পর থেকে এই ভূমিদস্যু চক্র বেপরোয়া হয়ে যায়। সেই থেকে টাকার গরমে বেপরোয়া হয়ে তারা একের এক জমি দখল আসছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) খায়রুজ্জামান জানান, অসহায় পরিবারের অভিযোগ আমলে তদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জমি দখল চেষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।