এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

ব্যবসায়ীক কাজে রোববার সকালে বিমান যোগে কক্সবাজার থেকে ঢাকা গিয়েছিলেন চকরিয়া উপজেলার তামাক ব্যবসায়ী উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ আলম (৫০) ও একই উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য রশীদ আহমদ (৫৫)। বিমান থেকে নামার পরপর নিখোঁজ হন তাঁরা। এমনকি ঘটনার পর থেকে বন্ধ ছিল তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। এ ঘটনায় নাইমুল ইসলাম নামের অপর এক ব্যবসায়ী ঢাকা বিমান বন্দর থানায় তাদের সন্ধানে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এদিকে দুই ব্যবসায়ী নিখোঁজের খবরে পরিবারে রীতিমত শুরু হয় আহাজারি। বাড়তে থাকে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।

এ অবস্থায় নিখোঁজের পর তাদের সন্ধান নিশ্চিত করতে না পারায় পরিবারের বরাত দিয়ে সোমবার চকরিয়ার সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানান সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম ও লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার।

চকরিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, সোমবার রাতে তাঁরা মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বলেন, আমরা ঢাকায় ডিবি পুলিশের হেফাজতে আছি।

তাঁরা অপহৃত বা নিখোঁজ হয়নি। বিমান থেকে ঢাকা নামার পর ডিবি পুলিশের কাছে সন্দেহ হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের কাছে অবৈধ কোন ধরণের কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর গতকাল মঙ্গলবার রাত সাতটার দিকে প্রায় ৪০ ঘন্টা পর দুইজনকে ছেঁড়ে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম।