সোয়েব সাঈদ, রামু :

রামুতে জন্ম নিবন্ধন সনদে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে অর্থ দন্ড দেয়া হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) বিকালে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে জয়নাব বেগম (৩২) নামে রোহিঙ্গা স্ত্রীকে নিয়ে হালনাগাদ ভোটার তালিকার চুড়ান্ত কার্যক্রমের জন্য ছবি তুলতে আসেন ছৈয়দ আলম নামে এক ব্যক্তি। এ সময় ওই মহিলাকে রোহিঙ্গা এবং জন্ম সনদে স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরটি নকল বলে সনাক্ত করা হয়।

পরে রোহিঙ্গা স্ত্রীকে ভোটার করার জন্য অবৈধভাবে কাগজপত্র সৃজন করার অপরাধে স্বামী ছৈয়দ আলমকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) চাইথোইলা চৌধূরী। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ছৈয়দ আলম (৩৫) রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বোমাংখিল এলাকার মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে।

জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে হালনাগাদ ভোটার তালিকার চুড়ান্ত কার্যক্রমের ছবি তোলার কাজ চলছিল। বিকালে স্ত্রী জয়নাব বেগমকে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করাতে ছবি তোলতে নিয়ে আসেন, ছৈয়দ আলম। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দায়িত্বরত এনএসআই সদস্য আবু হানিফ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাচাইয়ের সময় ওই মহিলাকে রোহিঙ্গা এবং সঙ্গে আনা জন্ম সনদে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরটি নকল বলে সনাক্ত করেন। বিষয়টি এনএসআই সদস্য আবু হানিফ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) চাইথোইলা চৌধূরী এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহফুজুর রহমানকে জানান। গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলাম জন্ম সনদে তার স্বাক্ষরটি নকল করা হয়েছে বলে, উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেন।

এনএসআই প্রতিনিধি আবু হানিফ জানান, জন্ম নিবন্ধনে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে জয়নাব বেগম নামে এক রোহিঙ্গা মহিলা। ওই রোহিঙ্গা মহিলার স্থায়ী ঠিকানা হলো পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নে। রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে ওই মহিলাটি ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্বামী-স্ত্রীকে উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) চাইথোইলা চৌধূরী জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ছবি তোলতে আসা জয়নাব বেগম নামে এক মহিলার জন্ম সনদে স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করতে, তার স্বামী ছৈয়দ আলম জড়িত বলে সনাক্ত হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত ছৈয়দ আলম ও জয়নাব বেগমকে দ-বিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় তিন হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।