এ কে এম ইকবাল ফারুক:
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক আ ক ম শাহরীয়ারের বিদায় সংবর্ধনা সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় কক্সবাজারস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের টেনিং সেন্টারে সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) কক্সবাজার জেলা ইউনিট।

জেলা ইউনিটের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদুল হকের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিদায়ী উপ-পরিচালক আ ক ম শাহরীয়ার নিজের দায়িত্ব পালনকালে কাউকে মনো কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চান। একই সাথে তিনি আগামীর কর্মকর্তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. শামশুল আলম।

বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাশ, মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাছান আকন্দ, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) কক্সবাজার জেলা ইউনিটের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাবেক জেলা সভাপতি যথাক্রমে মো. আবুল হাশেম ও রফিক আহামদ সওদাগর প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) কক্সবাজার জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম।

কক্সবাজার সদর উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টিানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) পেকুয়া উপজেলা ইউনিটের সভাপতি মো. মঈনুদ্দীন, টেকনাফ উপজেলা সভাপতি আদিলুর রহমান ও মহেশখালী ইউনিটের বিসিআইসির সার ডিলার মৌলানা ওসমান গনি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বিদায়ী উপ-পরিচালক আ ক ম শাহরীয়ারের ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, তাঁর কর্মদক্ষতার কারনেই কক্সবাজারে গত চার বছরে সার নিয়ে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। কৃষকরাও সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদা মতো সার নিয়ে কৃষি জমিতে প্রয়োগ করে চাহিদা মতো ফসল উৎপাদন করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদায়ী উপ-পরিচালক আ ক ম শাহরীয়ার বলেন, বর্তমান সরকারে আমলে সারের সুষম বন্ঠনের কারনে কক্সবাজারের কৃষকরা কৃষি ক্ষেত্রে বিল্পব সাধন করেছে। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে জমিতে উৎপাদিত ফসল জেলার ২৩-২৪ লাখ মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে আরো ৪৬ হাজার মে:টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। সবজি উৎপাদনে কক্সবাজার জেলা সারা দেশের মধ্যে এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এক সময় কৃষকরা তামাক চাষের প্রতি আগ্রহী থাকলেও বর্তমানে তারা তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে গোলাপ চাষ, সবজি চাষ ও ধান চাষের প্রতিই বেশী আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। জেলাব্যাপী আজকের এ কৃষি বিপ্লবের পেছনে বিসিআইসি সার ডিলারদের ভুমিকাও অপরিসীম। সেজন্য জেলার কৃষি ক্ষেত্রে এ সাফল্যের পেছনে সার ডিলারদের অবদানও স্বরণীয় হয়ে থাকবে।